সকাল সকাল কলকাতার মেয়র ও পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে সিবিআই। রবিবার সকালে সিবিআইয়ের একটি দল চেতলায় ফিরহাদের বাড়িতে পৌঁছন। বাড়ির ভিতর ঢুকে তল্লাশি চালাচ্ছেন তাঁরা। বাইরে দাঁড়িয়ে বাড়ি ঘিরে রেখেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। কাউকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ৫০ এরও বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়ি ঘিরে রেখেছে। ফিরহাদ হাকিমের কন্যা প্রিয়দর্শনী হাকিম বাড়ির সামনে দরজায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। প্রিয়দর্শিনী সিআরপিএফ জওয়ানদের সঙ্গে দরজায় দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ কথা কাটাকাটি চলে। তারপর তাকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। ভিতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে ফিরহাদ হাকিমের আইনজীবীকেও।
তল্লাশি চলছে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের বাড়িতেও। তৃণমূল বিধায়কের ভবানীপুরের বাড়িতে পৌঁছেছে সিবিআই এর আরেকটি দল। জানা গেছে,বাড়িতে রয়েছেন মদন মিত্র। সিবিআই সূত্রে খবর, তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়ে। পুর নিয়োগ তল্লাশিতে সিবিআই দল পৌঁছেছে, কাঁচরাপাড়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বাড়িতে। তল্লাশি চলছে হালিশহরেও। সেখানে চেয়ারম্যানের বাড়িতে গেছে সিবিআই। এর আগে ৫ অক্টোবর খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থা আধিকারিকেরা। তল্লাশি চলে ১৯ ঘন্টা ধরে। এরপর রাত দুটো নাগাদ তারা বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। শুধু রথীন ঘোষ নয় ঐ দিন সিবিআই একযোগে তল্লাশি চালিয়েছিল উত্তর ২৪ পরগণার ১২ টি পুরসভার বর্তমান ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়িতে। যার মধ্যে ছিল কামারহাটি, বরানগর, সাউথ দমদম টিটাগড় সহ বিভিন্ন পুরসভা।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে প্রোমোটার অয়ন শীলের বাড়িতে হানা দিয়ে এই বছরের শুরুতেই উদ্ধার হয়েছিল একাধিক নথি ওএমআর শিট। সিবিআইয়ের দাবি, সেখানেই হদিশ মেলে শুধু শিক্ষক নিয়োগে নয় রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও ব্যপক দুর্নীতি হয়েছে। সেখানেই মন্ত্রী রথীন ঘোষের নাম মেলে বলে দাবি সিবিআইয়ের। তারপরই পুর নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় রাজ্যে। কলকাতা হাইকোর্টে সেই মামলা উঠলে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তদন্তের ভার দেয় আদালত। তারপরে সিবিআই এবং ইডি তৎপর হয়ে ওঠে। রবিবার সকালে ফিরহাদ হাকিম,মদন মিত্র ছাড়াও রাজ্যের একাধিক পুরসভার পুরপ্রধানের বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআইয়ের একাধিক দল।
Comments