top of page

সুকান্ত বললেন, ‘মাথায় টান পড়বে’! সুজনের দাবি, প্রতি সপ্তাহে লুট আড়াই কোটি মানুষের রেশন


রেশন দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করার পরেই সরব হলেন বিরোধীরা। রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের ইঙ্গিত, এ বার তৃণমূলের ‘মাথা’রা তদন্তকারী সংস্থার নিশানা হতে পারেন। অন্য দিকে, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগ, রেশনকাণ্ডে প্রতি সপ্তাহে অন্তত আড়াই কোটি মানুষের রেশনের টাকা লুট করেছেন জ্যোতিপ্রিয়-সহ রাজ্যের শাসকদলের নেতারা!


সুকান্ত শুক্রবার বলেন, ‘‘জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতার তো সময়ের অপেক্ষা ছিল। যে পরিমাণ সম্পত্তি বাকিবুরের পাওয়া গেছে সেই সম্পত্তির উৎস কী? যে পরিমাণ সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে সেটা তো সম্পত্তি নয়, বরং রাজত্ব বলা ভালো। সেই সম্পত্তি বা রাজত্ব আসলে কার? কার সম্পত্তি বাকিবুরের নামে আছে? এর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। আমরা এর আগেও জ্যোতিপ্রিয়ের বিরুদ্ধে চাল চুরির অভিযোগ পেয়েছি।’’


এর পরেই কোনও নাম না করে সুকান্তের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, ‘‘বোঝাই যাচ্ছে যত চোর হচ্ছে তত চোরের রানির ছটফটানি বাড়ছে। এখন কান এসেছে পরে মাথাও আসবে।’’ বৃহস্পতিবার বিকেলে জ্যোতিপ্রিয়ের ঠিকানায় ইডি তল্লাশি চলাকালীন সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্রীয় শাসকদল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি নেতাদের একাংশ বলছেন, সে দিকেই নিশানা করেছেন সুকান্ত।


শান্তিনিকেতনে জ্যোতিপ্রিয়ের ছ’কোটির বাড়ি প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, ‘‘আমরা বুঝতে পারি না এঁরা কী ধরনের চাকরি বা ব্যবসা করেন যে, এত কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক এত দ্রুত হয়ে যান। ছ’কোটি টাকার বাংলো তিনি কিনেছিলেন। আর এঁরাই গরিব মানুষের ১০০ দিনের কাজের কথা টাকার কথা বলেন। আমার তো মনে হয় এঁদের যা টাকা জমানো আছে সেই টাকা দিয়েই গরিব মানুষের সমস্ত টাকা মিটিয়ে দেওয়ার যেতে পারে। ১০০ দিনের প্রকল্পের যত টাকা সব এঁদের একাউন্টে ঢুকেছে বলে আমার অনুমান। এঁরাই চুরি করেছেন ১০০ দিনের টাকা।’’



Comments


bottom of page