কলকাতা শহরে প্রাণ বলি যেন আর থামতেই চাইছে না। এই নিয়ে তৃতীয়বার এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর সংবাদ এসে পৌঁছালো। যাদবপুর, কসবা আর তারপর এবার, সুরেন্দ্রনাথ। বেছে বেছে যেন লক্ষ্যভেদ করা হচ্ছে কিশোরদের।
এবারে রহস্য মৃত্যু ঘটলো সুরেন্দ্রনাথ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বাগত বণিকের। ঘটনাস্থল, ছাত্রের বাড়ি থেকে প্রায় ১১৮ কিলোমিটার দূরে।
হাবড়ার ওই ছাত্রের ক্ষতবিক্ষত দেহের সন্ধান পাওয়া যায় পূর্ব মেদিনীপুরের ক্ষীরপাই-এ। এবং মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় পাঁশকুড়া এলাকার রেললাইন থেকে।
গত ৩ তারিখ রাত্রি ৯:৫১ নাগাদ উদ্ধার হয় দেহ।
এই ঘটনার ,ছাত্রের মৃত্দেহ ঘিরে রহস্যের আবরণ সৃষ্টি হয়েছে। কেন বাড়ি থেকে এত দূরে পাওয়া গেল স্বাগতের দেহ? এবং কেনই বা ছাত্রটি বাড়িতে ফোন রেখে সমস্ত তথ্য মুছে দিয়ে বেরিয়ে যায়? ক্রমশ তীব্র হচ্ছে রহস্যের গন্ধ।
সুরেন্দ্রনাথ কলেজের প্রথম বর্ষের এই ছাত্র উত্তর হাবড়ার অরবিন্দ নগর এলাকার বাসিন্দা। মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে হয়েও সে বিলাসবহুল জীবনযাপন করত। বন্ধুদের সঙ্গে নিয়মিত পাঁচতারা হোটেলেও যাতায়াত ছিল বলে শোনা যায়। সুতরাং, ইতোমধ্যেই মধ্যমগ্রাম ও হাবড়ার অধিবাসীদের মধ্যে স্বাগতের পরিচিত বেশ কিছু বন্ধুদের কথাও তদন্তে উঠে আসছে।
গত রবিবার কলেজের প্রজেক্ট-এর কাজে আচমকা বাড়িতে ফোন রেখে বেরিয়ে যায় কিশোর। ফোন ছাড়াই কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ায় সন্দেহ জাগে পরিবারের। হাবড়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার।
বাবা মায়ের দাবি তাদের ছেলে অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের, চক্রান্ত করে খুন করা হয়েছে তাদের সন্তানের। রহস্য উদঘাটনের দাবি বাবা মায়ের।
তবে কেনই বা স্বাগত ফোনের সমস্ত তথ্য মুছে দিয়ে আচমকা বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল? কীভাবেই বা বাড়ির থেকে কোনো আর্থিক সহায়তা না নিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করতো সে? এই রহস্যগুলি সমাধান হলেই এই অকালমৃত্যুর তদন্তের কিনারা হওয়া সম্ভব।
এছাড়াও প্রশ্ন হচ্ছে স্বাগত কি কোন সাইবার ক্রাইম এর কবলে পড়েছিল?
কাদের নজরে এসেছে কলকাতা শহরের ছাত্রদল? গত এক মাসের মধ্যে রাজ্যের মধ্যে তিনটি তাজা প্রাণ কেমন করে ঝরে গেল, সেই বিষয়ে শোকার্ত বাবা-মায়েরাই অবগত নন।
Kommentare