এদিকে ইসরাইল সেনার নয়া পরিকল্পনা গাজা ভূখণ্ডের সুরঙ্গের ডেরা থেকে হামাস যোদ্ধাদের উৎখাত করতে। প্রায় ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ গাজা উপকূলের একাংশ ইসরাইল নৌ সেনার দখলে রয়েছে। জল ভরো অভিযান সেখান থেকেই হতে পারে। সূত্রের খবর তাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে গাজায় হামাসের বানানো সুরঙ্গ জাল। বারবার তেল আবিব আমাদের হাতে বনবন্দীদের উদ্ধারের জন্য স্থলপথে অভিযানের কথা তাঁদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হামাসের হামলার কারণ নিয়ে বৃহস্পতিবার একটি ব্যাখ্যা দেন ওয়াশিংটন। ইসরাইলের উপর হামাস হামলার নেপথ্যের কারণ কী? বাইডেনের দাবির পর দিনই ভিন্ন সুর আমেরিকার গলায়। এদিকে এক রাতে গজায় নিহত ৫০০ । মাটি কেঁপে উঠছে মিনিটে মিনিটে। শুধু ঘরবাড়ি নয় মানুষ সহ সমস্ত কিছু গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইজরায়েলি ট্যাংক থেকে ছোড়া গোলা।
গাজায় প্রতিটি দিনই এখন একরকম। মিনিটে মিনিটে বোমার আওয়াজ, চারপাশে ধ্বংসস্তূপ। চারিদিকে শুধু মৃত্যু ভয় নিয়ে কোন মতে বেঁচে থাকার চেষ্টা। দক্ষিণ গাঁজা থেকে পালিয়ে এসেছেন ফয়সাল শাওয়া। তিনি একটি ব্রিটিশ দৈনিককে বলেন, শুধু আকাশ পথে হামলা নয় রাতভর ট্যাংক থেকে গোলা বর্ষণ করা হচ্ছে। কখনো সমুদ্রের দিক থেকে কখনো অন্য কোন দিক থেকে ধেয়ে আসছে গোলা। প্রতিদান রাত আগের থেকেও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। ফাইসাল বলেন প্রতি মিনিটে ওরা লোক মারছে শুধু লোকই নয়, ঘরের ভিতরে লোকজন রয়েছে সেই বাড়িটা সম্পূর্ণ বিস্ফোরণে উড়িয়ে দিচ্ছে।
ইসরায়েলি হামলার জেরে ঘর বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে অন্তত ১০ লক্ষ মানুষ। গাজার বেশিরভাগ হাসপাতাল বিদ্যুৎ,ওষুধ, স্বাস্থ্যকর্মীর অভাবে কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে এবং যে কটি চলছে কোন মতে সেগুলো জনসমুদ্র।
Comments