দুদিনের যাত্রা শেষে তৃণমূলের বাসগুলি দিল্লি সীমান্ত পার করে গেছে। যে আম্বেদকর ভবনে বাস যাত্রী জব-কার্ড হোল্ডার এবং তৃণমূল কর্মীদের রাখা হয়েছে, সেখানে পৌঁছে গেছে দিল্লি পুলিশ। অভিযোগ, কতগুলি বাস এসেছে, এবং তাতে কতজন এসেছে, তা নিয়ে ক্লান্ত বাসযাত্রীদের প্রশ্নের পর প্রশ্ন করে উত্যক্ত করছে পুলিশ।
পুলিশের এই অতি-সক্রিয়তা যে আগাম একটা ঝড়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে, তা তৃণমূল নেতৃত্ব টের পাচ্ছে। তবে এই নিয়ে বিশেষ প্রশ্ন না করে তাঁরা আম্বেদকর ভবনে ওঠা বিক্ষোভকারীদের নির্দেশ পাঠাচ্ছেন যে তাঁরা যেন ধৈর্য সহকারে দিল্লী পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করে।
তবে তাঁদেরকে উত্তর দেওয়ার সময়ে সতর্কও থাকতে বলা হয়েছে। কারণ তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তৃণমূলের কর্মসূচী সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য নিজেদের হাতে রাখতে চাইছে। যাতে পরবর্তীকালে তা বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যায়।
ইতোমধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের অন্য নেতা-নেত্রীরা দিল্লিতে পৌঁছে গেছেন। আজ দুপুর দেড়টা নাগাদ রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর ১৫৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
দিল্লীর যন্তর মন্তরে তৃণমূলের কর্মসূচির জন্যে দিল্লি পুলিশের যে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল, অবশেষে তা মিলেছে। কিন্তু একই সঙ্গে তৃণমূল বিকল্প চিন্তাও করছে শুরু থেকে দিল্লি পুলিশের অতি সক্রিয়তা দেখে। পুলিশি বাধার জন্যেও তাঁদেরকে প্রস্তুত থাকতে হচ্ছে বলে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীরা জানাচ্ছেন।
Comments