top of page
Wrishita Mukherjee, WTN

ইডির দাবি, রেশন দুর্নীতির সব অভিযোগে জ্যোতিপ্রিয় নিজেকে আড়াল করছেন

তদন্তকারীরা দাবি করেছেন, রেশন বন্টন দুর্নীতিতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নামে যে কটি অভিযোগ উঠেছে, সেই সবকটি অভিযোগ থেকে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করে গিয়েছিলেন তিনি। ইডির দাবি, রেশন বন্টন দুর্নীতির যে কালো টাকা তা সাদা করার জন্য তিনটি সংস্থা খোলা হয়েছে। যার একটিতেও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কিন্তু ডিরেক্টর ছিলেন না। যশোহর রোডের ভগবতী কলোনির একটি ফ্ল্যাটে ছিল ওই সংস্থার অফিস। সেই ফ্ল্যাটের মালিকের নাম হিসেবে রয়েছে মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক অমিত দে- এর নাম।


ওই তিনটি সংস্থার ডিরেক্টর পদে নাম পাওয়া গিয়েছে মন্ত্রীর স্ত্রীর ও কন্যার। এমনটাই দাবি করেছে তদন্তকারীরা। তদন্তকারীদের দাবি ওই সংস্থাগুলির পরিচালন বোর্ডে বাকিবুর রহমান ও মন্ত্রীর এক সহায়ক অভিজিৎ দাস এর পরিবারের সদস্যদের নাম থাকলেও কোন মন্ত্রীর নাম নেই। আদালতে জমা দেয় হয় নথি। সেই নথি অনুযায়ী তিনটি সংস্থার মাধ্যমে কালো টাকা সাদা হওয়ার পরেই মন্ত্রীর স্ত্রী ও কন্যা পদত্যাগ করেন।


আদালতে জমা দেওয়ার পর ইডির দাবি, বাকিবুরের হোয়াটস্যাপ চ্যাটে মিনিস্টার ইনচার্জ জ্যোতিপ্রিয়কে একাধিকবার টাকা দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া ইডি দাবি করেছে, অভিজিতের বাড়ি থেকে যে মেরুন ডাইরিটি উদ্ধার হয়েছিল। সেটিতে নথিভূক্ত করা আছে জ্যোতিপ্রিয়কে কত টাকা দেওয়া হয়েছিল।


আগামীকাল রবিবার জ্যোতিপ্রিয়র মেয়ে প্রিয়দর্শিনী ইডির দফতর সল্টলেকের সিজিও কংপ্লেক্সে কিছু নথি জমা দিতে যান। সেখান থেকে তিনি ফিরে আসেন কোন অফিসার না থাকায়। গত ২৭ অক্টোবর জ্যোতিপ্রিয়কে ক্রিটিকাল কেয়ারে ভর্তি করা হয়েছিল। এখন তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। রবিবার তাকে সেখান থেকে প্রাইভেট কেবিনে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে হল্টার মনিটরিং শেষ হয়েছে।

Comments


bottom of page