দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ভুয়ো সংস্থার নামে বেআইনি লেনদেন, ঋণ নেওয়ার নামে কালো টাকা সাদা করা। কোটির অঙ্কে টাকা কয়েক মাসের মধ্যে ব্যাংকে জমা করা, এরকম অজস্র অভিযোগকে সামনে রেখে বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে হেফাজতে নিল ইডি। ইডির দাবি, তদন্তে উঠে এসেছে এক রহস্যময় ডায়েরি। তাতে লেখা 'বালুদা'। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ডাক নাম হচ্ছে বালুদা। আদালতে ইডির দাবি সেই ডায়েরি পাওয়া গেছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের এক ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে। এখানে লেখা হয়েছে কোটি কোটি টাকার লেনদেনের হিসেব ও তারিখ। উল্লেখ করা রয়েছে কার থেকে কত টাকা কি কারণে নেওয়া হয়েছে, কাদের কত টাকা দেওয়া হয়েছে। এমনটাই দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইডির দাবি, মেরুন রঙা ডায়েরিতে লেখা, ঋণ হিসেবে কত টাকা নিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়। যার কোনটাই ফেরত আসেনি।
এর আগেই রেশন দুর্নীতি বন্টন মামলায় গ্রেফতার করা হয় বাকিবুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ীকে। তিনি এখনও ইডি হেফাজতেই। সেখান থেকেই বেশ কিছু সূত্র পেয়ে, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর একাধিক বাড়ি, ও আপ্ত সহায়কের বাড়িতে তল্লাশি। ইডির দাবি, এরপর বাকিবুর রহমান এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দুজনকে একসাথে বসিয়ে জেরা করলে আরও নতুন তথ্য পাওয়ায় সম্ভাবনা। সেই কারণেই মন্ত্রীকেও হেফাজতে নেওয়ার দরকার। যদিও শুক্রবার আদালতের রায় শোনার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন জ্যোতিপ্রিয়। সন্ধ্যেবেলায় মন্ত্রীকে ভর্তি করানো হয়েছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখান থেকে সুস্থ হয়ে বেরোলেই তাকে জেরা করতে পারবেন তদন্তকারীরা।
ইডির অভিযোগ ২০১৬ সালে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিয়মমাফিক যে হলফনামা জমা দিতে হয়েছিল সেখানে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় জানিয়েছিলেন তার স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে মাত্র ৪৫ হাজার টাকা রয়েছে। ইডির দাবি তার এক বছরের মধ্যে মন্ত্রীর স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে ছয় কোটি টাকা কিভাবে জমা পড়েছে? এত কম সময়ের মধ্যে এতটা টাকা কিভাবে জমা পড়েছে করে এলো এত টাকা তার খুঁজতে শুরু করেছে তদন্তকারীরা।
Comments