top of page
Writer's pictureJaita Chowdhury, WTN

"মহিলা সংরক্ষণ বিল ভোটের জন্যে এক গিমিক," লোকসভায় সরব সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার



মহিলা সংরক্ষণ বিল পাস হয়েছে লোকসভায়। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার বিলটি নিয়ে আলোচনায় দেশে নারী নির্যাতনের প্রসঙ্গ তোলেন। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি লোকসভায় বলেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি নারী নির্যাতনে শীর্ষে। অন্যদিকে কলকাতা দেশের মধ্যে মহিলাদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে নিরাপদ শহর।


কাকলী ঘোষ দস্তিদারের বক্তব্যের সুরেই এদিন বিজেপি শাসিত রাজ্যে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব হন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, " ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো তথ্য অনুযায়ী, যে রাজ্যগুলিতে নারী নির্যাতনের হার সবচেয়ে বেশি সেগুলি সবই বিজেপি শাসিত রাজ্যে।" তিনিও দাবি করেন যে কলকাতাই ভারতের একটি অন্যতম নিরাপদ শহর।


শান্তনু সেন জানান যে, মহিলা সংরক্ষণ বিলের জন্মদাত্রী একমাত্র মহিলা ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, "সংখ্যার জোরে বিলটি পাস করলেও দেশের মানুষ আসল সত্যিটা জানেন। বিজেপি-র যদি সত্যিই মহিলাদের উন্নয়ন করার ইচ্ছে থাকত তাহলে ৯ বছর আগেই এই বিল আনতে পারতো। প্রকৃত অর্থে এটা গিমিক এবং নির্বাচনী প্রচার ছাড়া কিছু নয়।"


বিজেপির সমালোচনা করে শান্তনু সেন বলেন, "বিজেপি মহিলা-বিদ্বেষী একটি দল। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য যে, মহিলা কুস্তিগীরদের যৌন হেনস্থা করলেও এই দলটি শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয় না, হাথরাস বা উন্নাও -র মত জঘন্য ঘটনাতেও কারো সাজা হয় না।


গত মঙ্গলবার সংসদের বিশেষ অধিবেশন চলাকালীন পেশ করা হয় ‘নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়াম’ বিলের মাধ্যমে লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভায় মহিলা প্রার্থীদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের প্রস্তাব করা হয়৷


ডিলিমিটেশন নিয়মাবলি প্রয়োগের পরে এই আইন কার্যকর হতে পারে বলে জানা গিয়েছে৷ বিশেষ অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল নতুন সংসদ ভবনের লোকসভা অধিবেশনে বিলটি পেশ করেছিলেন৷


গত ২৭ বছর ধরে এই বিলটি সংসদে আটকে ছিল৷ এদিন বিলের পক্ষে নিজের বক্তব্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান যে, এর আগে চারবার বিলটি লোকসভায় পেশ করা হয়েছে৷ সাংসদদের কাছে তাঁর আবেদন ছিল, এবার অন্তত বিলটি সর্বসম্মতভাবে পাশ করানো হোক৷

Comentarios


bottom of page