বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু বিরোধী? সোমবার থেকে যে সব ছবি সামনে এসেছে তাতে এই জল্পনা আরও জোরালো হচ্ছে। খোদ জাতির জনক, সেখ মুজিবুর রহমানই এখন ভিলেন।
তাহলে কী চরিত্র বদলাচ্ছে বাংলাদেশের? মুজিব ছিলেন পাক বিরোধী। তবে বাংলাদেশের রাজনিতে সবপক্ষই মুজিবের আদর্শে দিক্ষিত নন। বিশেষ করে সে দেশের আরও দুই প্রধান শক্তি, বিএনপি ও জামাত পাকিস্তানকে মিত্র বলেই মনে করে। একদিকে যখন বাংলাদেশের জনক মুজিবের মুর্তি ভাঙছে, অন্য়দিকে জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। সেই খালেদা জিয়া, ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সালে যার শাসনকালে পাকিস্তান ও আইএসআই-য়ের খেলার মাঠ হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
সেনা শাসনেও বাংলাদেশ জ্বলছে। সোমবার থেকে প্রায় ৪৫০ থানায় হামলা হয়েছে। জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে কয়েখ শো জামাত ও বিএনপি নেতা। তাহলে কী এই আন্দোলনের নেপথ্য়ে শুধুই ১৮-র আবেগ রয়েছে? নাকি নেপথ্য়ে রয়েছে পাক মদতপুষ্ট, জামাত। যে জামাত রাজনৈতিক দল হলেও তৈরী হয়েছিল মুসলি ব্রাদারহুড ও অন্য়ান্য় ইসলামি সন্ত্রাশ সংস্থার আদলেই। সেই জামাতের ছাত্র মোর্চা- ইসলামি ছাত্র সংগঠনই রয়েছে এই কোটা বিরোধী আন্দোলনের নেপথ্যে!
পুলিশশূন্য ঢাকা, আতঙ্কে বাংলাদেশ জুড়ে ফাঁকা বহু থানা, তার মধ্যেই পুলিশের কর্মবিরতির ডাক ৯ দাবিতে। সোমবার অন্তত ১০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বাংলাদেশে। হামলা হয়েছে থানাতেও। ঢাকা-সহ একাধিক শহরে চলেছে তাণ্ডব। এ বার নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতি ঘোষণা পুলিশকর্মীদের সংগঠনের।
‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। মৃদুভাষী নেতা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, সেনাশাসন তাঁরা মানবেন না। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে গঠন করতে হবে অন্তর্বর্তী সরকার।
শুধুই কী তারুন্যের আবেগ? নাকি বাংলাদেশের এই আন্দোলনের পেছনে রয়েছে গভার ষড়যন্ত্র। আন্দোলনের জঙ্গি আকার নেওয়া, মুজিবের মুর্তি ভাঙা, জামাত নেতাদের জেল ভেঙে বের করে আনা আর হাসিনার দেশ ছাড়ার ২৪ ঘন্টার মধ্য়েই খালেদা জিয়ার মুক্তি- সবই বলছে বাংলাদেশ বদলাচ্ছে। পাক বিরোধী বাংলাদেশে আবার হয়তো পাক বান্ধব সরকার আসছে।
Comments