চন্দ্রকোনার কুঁয়াপুর এলাকার লাগোয়া কৃষি জমি থেকে গলার নলি কাঁটা অবস্থায় এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ৩০ শে আগস্ট সেই গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এরপর গৃহবধূর পরিচয়, খুনের কারণ কী এব এই খুনের পিছনে কে আছে, সেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অবশেষে পুলিশ আসল অভিযুক্তকে ধরে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায় উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদের বাসিন্দা শ্রীমতি বর্মন ৩০ বছর বয়স মৃত গৃহবধূর। শ্রীমতি বর্মনের স্বামী মারা যায় বেশ কয়েক বছর আগে, তারপর তাঁর আলাপ হয় ফেসবুকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার বালা এলাকার বাসিন্দা সৌরভ বেহেরার সাথে।
মৃত গৃহবধূর আর্থিক স্বচ্ছলতা ভালো থাকার কারণে সৌরভ বেহেরা ভালোবাসার ছলনা করে বহু টাকা ধার নেয়। এমনকি বিয়ে করবে বলেও কথা দেয়। এক বছর আগে মন্দিরে বিয়ে করে তারা।
মৃত গৃহবধূর একটি নয় বছরের সন্তানও রয়েছে বলে জানা যায়- অন্যদিকে সৌরভেরও স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। শ্রীমতি বর্মন সৌরভকে তার বাড়িতে নিয়ে য়াওয়ার জন্য চাপ দিতেও শুরু করে ও সমস্ত ঘটনা পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়ে দেবে বলে জানায়। তারপরেই ছক কষে সৌরভ।
খুন করবার মতলবে হঠাৎ করে শ্রীমতি বর্মনকে চন্দ্রকোনা আসার জন্য বলে সৌরভ। এবং শ্রীমতি বর্মন চন্দ্রকোনায় আসবার পর রাতের অন্ধকারে ধারালো ছুরি দিয়ে তার গলার নালী কেটে খুন করে সৌরভ। তারপর তাঁর দেহ চন্দ্রকোনার কুয়াপুর গ্রামে ধারে ধান জমিতে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় সে।
পুলিশ খুন হওয়া মহিলার পরিচয় জানতে। বিভিন্ন থানায় খোঁজ নেয়। এছাড়াও সিসিটিভি ফুটেজও চেক করে। এরপর পুলিশ সৌরভকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা থেকে গ্রেফতার করে। ঘাটাল আদালতে মঙ্গলবার ধৃত সৌরভকে তোলা হবে।
Comments