অনামিকার নিয়োগপত্র হাতে পেতে এত দেরী কেন? কারণ জানতে চেয়ে আপনাদের কাছে হলফনামা চাইলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সচিবকে রিপোর্ট দিতে এত দেরি হল কেন?
এই বিলম্বের জন্য গাফিলতি কাদের? তারও জবাবদিহি করতে হবে আদালতে।
২৮ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। এদিন বুধবার ২০শে সেপ্টেম্বর, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দফতরে নিয়োগপত্র হাতে পেয়েছেন অনামিকা।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৬ মে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ববিতা সরকারের চাকরি আর যোগ্য চাকরিপ্রার্থী অনামিকা রায়কে হস্তান্তরিত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ১৪ই জুলাই এসএসসি সুপারিশপত্র পাঠায় পর্ষদকে।
এরপর, ৩ অগস্ট নথি যাচাই করার জন্য অনামিকাকে ডেকে পাঠায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। নির্দ্বিধায় কাটে 'পুলিশে ভেরিফিকেশন'-ও। কিন্তু তারপরেও কেন এত সময় লাগল নিয়োগ পত্র দিতে? মূলত তা নিয়েই প্রশ্ন করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকি, চাকরি জীবনের সমস্ত বেতনও ফেরাতে হয় আদালতকে। তার বদলে চাকরি পেয়েছিলেন
প্রসঙ্গত, শিক্ষাক্ষেত্রে, রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতার নিয়োগ কারচুপির অভিযোগে তাঁর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। অঙ্কিতার বদলে চাকরি পান শিলিগুড়ির বাসিন্দা ববিতা। কিন্তু সেই নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হন অনামিকা
মামলার পর দেখা যায় ববিতা নিয়োগেও পদ্ধতিগত ত্রুটি রয়েছে। এর পরই ববিতার চাকরি বাতিল করেন বিচারপতি। যোগ্য জায়গা হাসিল করেন অনামিকা। এতদিনের চাকরির প্রাপ্য টাকাও অনামিকার হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি।
Comments