top of page
Writer's pictureJaita Chowdhury, WTN

খামবন্দি চিঠিতে কি কেন্দ্রের কাছে নালিশ জানালেন রাজ্যপাল? চিঠি নিয়ে তরজা তুঙ্গে



ঘড়ির কাঁটা ধরে বারোটা বাজার ঠিক আগেই রাজভবন থেকে মুখবন্ধ রহস্য-চিঠি গিয়েছিল কেন্দ্র ও নবান্নে। খামবন্দি সেই গোপন চিঠিতেই লুকিয়ে রাজ্যপালের ‘অ্যাকশন’। মধ্যরাতের সেই জোড়া চিঠিকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।


সূত্রের খবর, শিক্ষা দুর্নীতি ইস্যুতেই দিল্লি ও নবান্নকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল। বাংলার শিক্ষার বেহাল অবস্থার কথা তুলে ধরা হয়েছে সেই চিঠিতে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বারংবার অহেতুক আক্রমণের কথাও উল্লেখ রয়েছে সেই চিঠিতে।


উল্লেখ্য, গত কয়েকমাস ধরেই শিক্ষা নিয়ে রাজভবন ও বিকাশ ভবনের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ। দফায় দফায় সেই রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের নানান এপিসোডের সাক্ষী বাংলা। দিন দুয়েক আগেই প্রাক্তন উপাচার্যরা রাজভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন। যে ঘটনাকে ঘিরে তৈরি হয় অস্থিরতা।


এরই মধ্যে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির রেজিস্ট্রারদের বৈঠকে ডেকে পাঠান শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু রেজিস্ট্রারদের ব্রাত্য থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয় রাজভবনের তরফ থেকে।


দুই দফতরের এই দড়ি টানাটানির মাঝেই শনিবার রাত ১১টা ৪২ টা নাগাদ শিক্ষা দফতর ও কেন্দ্রকে চিঠি পাঠান রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সি ভি আনন্দ বোস। এখন প্রশ্ন হল,রাজ্য-রাজ্যপালের এই সাংবিধানিক এক্তিয়ার নিয়ে দ্বন্দ্ব থামবে কবে?


বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নিয়মিত প্রশাসনিক কাজকর্মগুলি কি আদৌ আবার নিয়মিতভাবে হবে। কী পাওয়া যাবে? উপাচার্য নিয়োগ জটে আটকে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অন্যান্য কাজ শুরু হবে কবে? এখন দেখার বিষয়, রাজ্যপালের চিঠি পেয়ে দিল্লি ও নবান্নে কী পদক্ষেপ গৃহীত হয়।

Comments


bottom of page