বৃহস্পতিবার অভিষেক রাজভবন অভিযানের ডাক দেন। অন্যদিকে, রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গের যান বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। মেঘভাগা বৃষ্টির কারণে আশেপাশের সমস্ত কিছু চুরমার করে দিয়ে সিকিমের তিস্তা নদী এবার জলপাইগুড়ির দিকে ধেয়ে আসছে। সঙ্গে ভাসিয়ে নিয়ে আসছে দেহ জামা কাপড় বাসনপত্র থেকে সবকিছু। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির পর খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার সকালেই দার্জিলিং পাহাড়ে পৌঁছে গেলেন সিভি আনন্দ বোস। এদিকে বিকেলে ফিরে আসার কথা কলকাতায় তিস্তার ভয়াবহ ছবি খতিয়ে দেখার পর। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যের সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকও পৌঁছেছেন উত্তরবঙ্গে।
এদিকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে বৃহস্পতিবারই লাক্ষাধিক মানুষ নিয়ে কলকাতার রাজভবনে অভিযান করার ডাক দিয়েছেন অভিষেক । এদিকে উত্তরবঙ্গে রাজ্যপালের সাথে সাথে একই দিনে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামেন রাজ্যের সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তিনিও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বন্যা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখবেন।
রাজ্যপাল বাগডোরার বিমান থেকে নেমে শিলিগুড়ি স্টেট সার্কিট হাউজের দিকে যান।সেখান থেকে তার কনভয় বেরিয়ে সোজা পাহাড়ে দিকে যায় বর্তমানে তিনি দার্জিলিং যাওয়ার রাস্তায় বন্যা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখছেন। এদিকে শ্বেতীঝোরা এলাকায় সিভি আনন্দ বোস কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। সূত্রের খবর রাজ্যপালের কণভয় পাহাড়ের পরিস্থিতি দেখতে যায় জলপাইগুড়ির দিকে। সেখান থেকে ফিরে আবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার কথা। জানা যায় রাজ্যপালের কনভয় কালিঝোরা পর্যন্ত গিয়ে ফিরে আসে। কারণ ধসের জেরে সামনের রাস্তা ঠিক নেই।
অন্যদিকে রাজ্যের সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে নেমে পড়েছেন। তিনি বলেছেন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এসেছেন। দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন কোথায় কোথায় যেতে হবে? কোথাকার কি পরিস্থিতি? আমরা কতদূর কি করতে পারব শেষ হবে নিয়েই আলোচনা হবে।
Comments