মহামারীর দাপট কাটলেও, তার রেশ কাটেনি তাঁত শিল্পীদের জন্য। লকডাউনের পর থেকেই আর্থিক মন্দায় ভুগছেন তাঁত শিল্পীরা।
এমনকি পুজোর আগেও দর নেই তাঁতের। ফলে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ধাত্রীগ্রামের ভবানীপুরের বাসিন্দা কমল চন্দ্র বসাক। বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ বাড়ি ফাঁকা থাকায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন তাঁত শিল্পী।
পরিবারের দাবি, পুজোর আগে সেই ভাবে চাহিদা বাড়ছে না।কার্যত লোকসানেই বিক্রি করতে হচ্ছে তাঁতের শাড়ি। অবশেষে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন এই তাঁতি।
মৃতদেহকে ময়না তদন্তের জন্য এদিন বুধবার দুপুরে কালনা মহকুমা হসপিটালের মর্গে নিয়ে আসা হয়। মৃতের ছেলে অপূর্ব বসাক জানান, “আগে আমাদের বাড়িতে সাতটি তাঁত ছিল। কাপড়ের বাজার মন্দ হওয়ার পর থেকে বর্তমানে দুটো তাঁত চলে। এর জেরেই উনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে
পড়েছিলেন বেশ কয়েক বছর ধরে।“
ধাত্রীগ্রামের সকল তাঁতিদের একই অভিযোগ। সকলেই জানান তাদের বাজার পুজোর এবার বেশ খারাপ।
Comentários