চাঁদের মাটিতে জলের হদিশ দিয়েছে চন্দ্রযান, ‘নেচার অ্যাস্ট্রোনমি’-র বিশ্লেষণে জানা যাচ্ছে পৃথিবীর কারণেই চাঁদে জল।
চন্দ্রপৃষ্ঠে চন্দ্রযান নিরন্তর পর্যবেক্ষণ চালিয়ে ইসরো-র বৈজ্ঞানিকদের নতুন নতুন তথ্য পাঠিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক পাওয়া তথ্য অনুযায়ী চাঁদেতে জলের সন্ধান পাওয়া গেছে।
কিন্তু সেই তথ্যগুলি বিশ্লেষণ করে বৈজ্ঞানিকেরা জানাচ্ছেন যে চাঁদের মাটিতে যে জল রয়েছে, তা সৃষ্টির নেপথ্যে পৃথিবীর উচ্চতর স্তরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
পৃথিবীর ম্যাগনেটোস্ফিয়ারে যে প্লাজমাস্তর, তাতে উপস্থিত উচ্চশক্তির ইলেকট্রনের কারণে চাঁদের আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে। এবং সেই পরিবর্তনের কারণে চাঁদের পাথরগুলি ভাঙছে। সেই ভাঙা শিলার মধ্যে থেকে প্রচুর খনিজদ্রব্যের হদিশ মিলছে।
এই তথ্যের ভিত্তিতে চাঁদের মাটিতে জলের ঘনত্ব এবং বরফের উৎস কী তা ব্যাখা করা যাবে। তবে সূর্যের তাপের কারণে পৃথিবীর ম্যাগ্নেটোস্ফিয়ারে যে প্লাজমা, তার ইলেকট্রনগুলিই চাঁদে জল তৈরিতে বড় ভূমিকা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, চন্দ্রযান ১-এ থাকা মুন ইম্প্যাক্ট প্রোব চাঁদের মাটিতে আছড়ে ফেলা হয়। সেই অভিঘাত থেকেই প্রথম ইঙ্গিত মেলে যে চাঁদের মাটিতে জল রয়েছে।
ইসরো-র পক্ষ থেকে জানা গেছে চন্দ্রযান ৩ এবং আদিত্য এল ১-এর সফল উৎক্ষেপণের পরে গগনযান পাড়ি দেবে মহাশূন্যে। এবারে মানবহীন অভিযান হলেও পরবর্তীকালে নভচারীদের পাঠানো হবে মহাকাশ অভিযানে।
Comments