top of page
Writer's pictureMinakshi Ghosh, WTN

ক্রিকেটের ইডেনে জন্মদিনেই সেঞ্চুরি সচিনকে ছুঁলেন কোহলি! পেলেন সচিন-শুভেচ্ছাও

জন্মদিন-বিশ্বকাপের ম্যাচ- সেঞ্চুরি নট আউট আর সচিনকে ছোঁয়া! জন্মদিন পালনের এর থেকে বড় ক্ষেত্র আর কি হতে পারত? আর রবিবারের ইডেন ছিল সেই মূহুর্ত পালনের পারফেক্ট-ডেস্টিনেশন! বিশ্বকাপের ম্যাচে, বিরাট কোহলি নিজের জন্মদিনে সচিন তেন্ডুলকরের বিশ্বরেকর্ড স্পর্শ করলেন কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে। কোহলির ৪৯ তম শতরান এল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। কোহলির শতরান পূর্ণ হল ১১৯ বলে। শেষ পর্যন্ত, কোহলি ১২১ বলে ১০১ রান করে অপরাজিত থাকলেন।


এ বারের বিশ্বকাপে কোহলিকে তিন বার শতরানের কাছ থেকে ফিরে আসতে হয়েছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি শতরান করেও ক্রিকেটপ্রেমীদের মন ভরাতে পারেননি তিনি। তবে ইডেনে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেই কোহলি স্পর্শ করে ফেললেন সচিনকে। তার ৪৯তম শতরান পূর্ণ হতেই দাঁড়িয়ে অভিনন্দন জানাল ইডেনের ৬৭ হাজারের গ্যালারি।


শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, ক্রিকেটের বরপুত্রও। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সচিন লিখেছেন, "ওয়েল প্লেড বিরাট, আমার ৪৯ থেকে ৫০-এ পৌছতে ৩৬৫ দিন লেগেছে, এই বছরের শুরুতে। আশা করি তুমি ক'দিনের মধ্যেই আমার রেকর্ডটা ভেঙে দেবে। অভিনন্দন।" স্বাভাবিক কারণেই ম্যাচ শেষে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার হাতে উচ্ছ্বসিত বিরাটও ফিরিয়ে দিলেন, কৃতজ্ঞতা। জানিয়ে দিলেন তিনি কোনদিন সচিন হতে পারবেন না!

রবিবার সকাল থেকেই ইডেন গার্ডেন্স সেজেছিল কোহলির জন্মদিনের জন্য। সিএবি কর্তারা ইডেনে দর্শকদের কোহলির মুখোশ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) অনুমোদন না পাওয়ায়, স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়কে কোহলির জন্মদিন পালনের পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়েছে। কিন্তু নিজের জন্মদিন পালনের ব্যবস্থা বিরাট কোহলি নিজেই করে নিলেন। সন্ধ্যায় ইডেনে, নিজেই কোহলি আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন যে, তিনি ব্যতিক্রমী। নিজের জন্মদিনে বিরাট আইসিসির অনুমোদন ছাড়াই উপহার দিলেন।


দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কোহলি শুধু শতরানের নজিরই গড়লেন না, ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী একটি দায়িত্বশীল ইনিংসও খেললেন। তাকে দেখা গেল কখনও আগ্রাসী মেজাজে আবার কখনও সাবধানী হয়ে খেলতে। দলের প্রয়োজন বুঝে, উইকেট বাঁচিয়ে, এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন বিশ্বরেকর্ড ছোঁয়া শতরানের ইনিংস। অযথা বল তুলে মারার চেষ্টা করেননি। আবার আলগা বল পেলে বাউন্ডারির বাইরেও পাঠিয়েছেন। উইকেটের অপর প্রান্তে থাকা একের পর এক পার্টনারকে হারিয়েও নিজের লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন কোহলি। অধিনায়ক রোহিত শর্মা আগ্রাসী মেজাজে খেলতে শুরু করেও বড় রান পাননি। সেটাই হয়তো বাড়তি সতর্ক করে দেয় প্রাক্তন অধিনায়ক কোহলিকে।


লক্ষ্য করে দেখা গেছে যে, এইবারের বিশ্বকাপে ভারতের প্রতিটি ম্যাচে কোহলি অথবা রোহিতের মধ্যে এক জন বড় রান করছেন। রবিবারের ইডেনে সেই দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নিলেন কোহলি। দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার কেশব মহারাজকে ছাড়া আর কোনো বোলারকেই সমীহ করেননি। মহারাজকে কেন করেছেন? তা শুভমন গিলের আউট হওয়ার বলটি দেখলেই, এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে। সেখানে অভিজ্ঞ কোহলি ভুল করেননি। দলের ইনিংসের শেষ পর্যন্ত তিনি উইকেটের এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন।


কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে, সচিনের বিশ্বরেকর্ড ছোঁয়া কোহলির শতরান দেখল বিশ্বকাপ। প্রতীক্ষা শুরু হল নতুন বিশ্বরেকর্ডের। বিশ্বকাপ কী এবারে সমৃদ্ধ হবে? ব্যতিক্রমী কোহলির ৫০-এর বিরাট উপহারের অপেক্ষায় থাকবে ক্রিকেটপ্রেমীরা।

コメント


bottom of page