১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে গাড়ুঘাটার কাছ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, জখম তরুণীর নাম নেহা শর্মা। তাঁর বাড়ি উত্তরপ্রদেশের সম্ভাল জেলার রাজপুরা থানা এলাকায়।
বছর চব্বিশের ওই তরুণীকে মহিষাদলের বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।তরুণীর কাছ থেকে তাঁর আধার, ভোটার কার্ড সহ পরিচয়ের সমস্ত নথি কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
ওই তরুণীকে মহিষাদলের কোনও নিষিদ্ধপল্লিতে বিক্রি করার উদ্দেশ্য নিয়ে আসা হয়েছিল বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, পুলিশি ঘেরাটোপে ওই মহিলার চিকিৎসা চলছে। প্রায় চব্বিশ ঘণ্টা পর তাঁর জ্ঞান ফিরেছে। জ্ঞান ফেরার পরই পুলিস তরুণীর পরিচয় জানতে পারে।
পুলিসকে তরুণী জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী মুকেশ তাঁকে কলকাতার পাশে কোনও গ্রামে আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে এখানে আনেন।
গাড়ুঘাটার কাছে তাঁরা গাড়ি থেকে নামেন। তারপর টয়লেটে গিয়েই হঠাৎ তিনি আক্রান্ত হন। স্বামীর সঙ্গে ঝামেলার জেরে হঠাৎই তাঁর স্বামী তাঁকে মারধর শুরু করেন এবং পকেট থেকে ছুরি বের করে গলায় চালিয়ে দেন।
স্থানীয় হনুমান মন্দিরের কাছে অন্ধকারে ওই ঘটনা ঘটে। সারারাত বেহুঁশ অবস্থায় পড়েছিলেন ওই তরুণী।
Commentaires