প্রত্যেকটি সরকারী কাজে কেন্দ্রীয় সরকার বারবার জোর দেয় আধার লিঙ্কের জন্যে। এই নীতির ঘোর বিরোধী পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বিরোধী কর্ণাটক সরকারও। তাই সেই রাজ্যে চালু হয়েছে ‘কুটুম্ব’ কার্ড। প্রতিটি পরিবারকে একটি ‘কুটুম্ব’ কার্ড দেওয়া হয়। সেই কার্ডে রয়েছে একটি নির্দিষ্ট পরিচয় নম্বর। এবং সেই নম্বর এর মাধ্যমে গোটা পরিবারেরসদস্যদের আধার অনুযায়ী সব তথ্য রাজ্য সরকারের কাছে জমা থাকে।
পশ্চিমবঙ্গও কি কর্ণাটকের পথে হাঁটছে? এখানেও কি চালু হবে ‘কুটুম্ব’-এর সমগোত্রীয় একটি কার্ড? প্রতিটি পরিবারের সদস্য যাতে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবাপাবার ক্ষেত্রে কোনো বাধার সম্মুখীন না হয়, তা নিশ্চিত করতে এমন প্রস্তাবনা দিয়েছে রাজ্য সরকার। কারণ, প্রত্যেক পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সরকারের পরিচিতির তথ্য ভান্ডারনির্মাণের ভিত হিসেবে আধার লিংক-এর উপরেই ভরসা রাখছেন।
সরকারি যে কোনো পরিষেবা পাওয়ার জন্য পরিবারের প্রত্যেক কজনকে আলাদা আলাদা ভাবে কাগজপত্র জমা দিতে হয়। যা অনেক সময় নেয়। এই নতুন ব্যবস্থা চালু হলে টা অনেকটা সময় বাঁচাবে মানুষের, বারবার কাগজপত্র জমা দেওয়ার এই ঝামেলাটা অনেকটাই কমবে। বলা যায়, অনেকটা ব্যাংকে KYC চালু করার পর যেরকম সুবিধা গ্রাহকেরা পাবেন।
নতুন পদ্ধতিতে প্রত্যেক পরিবারের সব সদস্যের প্রায় সব প্রয়োজনীয় তথ্যই জমা থাকে সরকারের কাছে । ফলে, কোনও পরিষেবার ক্ষেত্রে নতুন করে নথি জমা বা তা যাচাইয়ের প্রয়োজন চট করে পড়ে না। এতে সরকার ও উপভোক্তার সময় বাঁচে, মসৃণ হয় পরিষেবা দেওয়ার এই প্রক্রিয়া।
Comentarios