top of page
Writer's pictureJaita Chowdhury, WTN

যাদবপুরে ইউজিসির প্রতিনিধিদল, একাধিক বেনিয়মের উল্লেখ রিপোর্টে



প্রথমবর্ষের ছাত্রমৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত ছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এদিকে, তার মাঝেই সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসে ইউজিসির প্রতিনিধি দল। সূত্রের খবর, বেলা ১১টা নাগাদ ইউজিসির ৪ জনের এক প্রতিনিধি দল ক্যাম্পাস পরিদর্শনে আসেন।


বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পরিদর্শনে বেশ কিছু বেনিয়মের খুঁজে পেল এই বিশেষ দল। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকে জমা দেওয়া ইউজিসির রিপোর্টে সেই বেনিয়মগুলির উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগে,ইউজিসি প্রদত্ত গাইডলাইন ন মানাকে কেন্দ্র করে ইউজিসিকে পর পর রিপোর্ট পাঠিয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকে জমা দেওয়া ইউজিসির রিপোর্টে সেই বেনিয়মগুলির উল্লেখ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের দাবী এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই আগামীতে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।


কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার জানিয়েছেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনের পর ইউজিসির দলের যে বেনিয়মগুলি নজরে এসেছে তার মধ্যে অন্যতম হল ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে কোনো অধ্যাপককে ডিনের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। ডিন শুধুমাত্র একজন প্রশাসনিক আধিকারিক। দ্বিতীয়ত ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ এন্টি র‍্যাগিং কমিটির হেল্পলাইনের ফোন নম্বরই জানেন না।


এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্যরা জানেনই না যে বিশ্ববিদ্যালয়ে এন্টি র‍্যাগিং স্কোয়াড কার্যকর রয়েছে কিনা। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের দাবী ইউজিসির এই পর্যবেক্ষণ থেকেই পরিস্কার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এন্টি র‍্যাগিং স্কোয়াড গত ৬ মাস ধরে কার্যকর ছিল না। এছাড়াও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের দাবী ইউজিসির পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে আরো চাঞ্চল্যকর বেনিয়মের ছবি।


বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গে ইউজিসি তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে যাদবপুরের ১০ টি হোস্টেল ওয়ার্ডেন পদের মধ্যে ৯ টিতেই রয়েছেন চুক্তিভিত্তিক কর্মী। যা নিয়ম বিরুদ্ধ বলে দাবি করেছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। সুভাষ সরকারের বক্তব্য ইউজিসির তরফে এই রিপোর্ট পাওয়ার পর তার ভিত্তিতে আগামীতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক।

Commentaires


bottom of page