ইউজিসি-র প্রতিনিধিদের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেছিলেন। সেই পরিদর্শনের ভিত্তিতে ইউজিসি পাঠালো রিপোর্ট। র্যাগিং প্রতিরোধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট ইউজিসি। প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যু ঘটনার রিপোর্টে ইউজিসি উল্লেখ করেছে একাধিক গাফিলতির কথা।
আজ মঙ্গলবার ২৬শে সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির বৈঠক। তার আগেই প্রকাশ্যে এলো ইউজিসির রিপোর্ট। সোমবার রাতে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। তাঁদের বৈঠক হয় প্রায় ১ ঘন্টা ধরে। উপাচার্য জানান, রাজ্যপালের সঙ্গে ইউজিসি রিপোর্ট এবং মঙ্গলবারের বৈঠক নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
রিপোর্টে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানান খামতির কথা উল্লেখ রয়েছে। ইউজিসি র্যাগিং রোধে যে নির্দেশিকা দিয়েছিলো তা মানা হয়নি বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে।
ইউজিসি রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং রোধে নজরদারির অভাব রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা হোস্টেলে থাকছেন, এটা জানা সত্ত্বেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এই রিপোর্ট গ্রহণের ১৫ দিনের মধ্যে ইউজিসি ব্যাখ্যা চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে।
সোমবার রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পর উপচার্য বলেন রিপোর্টে আমাদের বেশ কিছু খামতি ধরা পড়েছে, সেগুলো মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হবে। রাজ্যপালও দ্রুত সেইসব মিটিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু বলেছেন, ইউজিসির রিপোর্টে যে নির্দেশিকা রয়েছে তা শুধু যাদবপুরই নয়, বাকি অনেক আরও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে মানা সম্ভব নয়। না আছে এত সংখ্যক হোস্টেল, না সুপার, না স্থায়ী পদ। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিকাঠামোগত সমস্যাগুলি সমাধানের চেষ্টা করবেন।
Comentarios