সোমবার সন্ধ্যায় নিউ টাউন থানার পুলিশ যাত্রাগাছির একটি গেস্ট হাউসে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালায়। তথ্যটি এসেছিলো একটি এনজিও থেকে।
ওয়েস্ট বেঙ্গল কমিশন ফর প্রটেকশন অফ চাইল্ড রাইট, বিধাননগর গোয়েন্দা শাখা এবং নিউ টাউন থানা বিধান নগর ওমেন পিএস আধিকারিকরা যাত্রাগাছির এই গেস্ট হাউসে অভিযান চালিয়ে দুই নাবালিকাকে উদ্ধার করে।
যাত্রাগাছির এই গেস্ট হাউসটির বিরুদ্ধে স্থানীয় মানুষরাও দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ জানিয়ে এসেছে। বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কাজকর্ম চালানো হয় এই গেস্ট হাউস।
এবারে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ, গোয়েন্দা এবং শিশুরক্ষা কমিশনের যৌথ অভিযানে পাচার কাণ্ডের এই ঘটনাটি সামনে আসে। শুভাশিস মণ্ডল, অনির্বাণ বোস, তপন মিশ্র, স্বপন কর্মকার, অভিজিৎ বরাত সহ গেস্ট হাউজ়ের মালিকের স্বামী গ্রেফতার হয়।
ধৃত এই ছয়জনের বিরুদ্ধে পুলিশ ৩/৪/৫/৭ আই টি পি আইনে ও ৪/৬/১৭ ধারায় প্রোটেকশন অ্যাগেন্সট চিলড্রেন সেক্সচুয়াল অফেন্স ধারায় মামলার রজু করেছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরে প্রকাশিত একটি এনজিও-র রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে যে প্রতি বছরে ১০ লক্ষেরও বেশি নারী ও শিশু পাচার হচ্ছে এই দেশে। এই পাচার প্রক্রিয়ায় কলকাতা, আসানসোল, শিলিগুড়ি ও হাওড়া অন্যতম স্থান অধিকার করে আছে।
উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ মুর্শিদাবাদ, জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিং-এর অধিবাসীদের মোটা বেতনের লোভ দেখিয়ে এই পাচারকারীরা নারী ও শিশুদের অন্যান্য শহরে নিয়ে যাচ্ছে। পাচার হওয়া শিশুদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ বালিকা।
Commentaires