ভারতীয় সংবিধান বহু আগেই ট্রান্স জেন্ডারদের অগ্রাধিকার দিয়ে সমাজে তৃতীয় লিঙ্গের স্থান দিয়েছে। কিন্তু সমাজ-সচেতনতার অভাবে ট্রান্স জেন্ডার বলতে আজও ভেসে ওঠে ট্রেন ও বাসে, আবার কখনও রাস্তার সিগন্যালে তালি বাজিয়ে ঘুরতে থাকা মানুষ গুলোর কথাই । । সেই গতানুগতিক ধারণাকেই পুরোপুরি মিথ্যে প্রমাণ করলো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা আদালত। লোক আদালতে বিচারপতি হিসেবে মনোনীত করা হলো এক তৃতীয় লিঙ্গের ব্যাক্তিকে।
একুশ শতকের বুকে জড়িয়েও, সমাজজীবন ও কর্মজীবনে লাঞ্ছনা এবং বঞ্চনার শিকার হতে হয় এই মানুষগুলোকে। সেই বঞ্চনার মোড় ঘোরাতেই মেদিনীপুর লোক আদালতের এই অনন্য উদ্যোগ। সমাজের কাছে এই অভূতপূর্ব বার্তা দিয়ে নজির গড়ল।
জাতীয় আইনি পরিষেবা কতৃপক্ষের নির্দেশে জেলা আইনি পরিষেবার তরফে, মেদিপুরের লোক আদালতের বেঞ্চে বিচারক হিসেবে মনোনীত করা হলো অমিত দত্তকে। জেলা আইনি পরিষেবা কতৃপক্ষের সচিব দিব্যেন্দু নাথ জানান " এই সমাজে একটি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের ও সমান অধিকার রয়েছে সর্বক্ষেত্রে" ।
লোক আদালতের প্রতিটি বেঞ্চে একজন বিচারক, একজন আইনজীবী ও একজন সমাজসেবী থাকেন। সেইমত উনি সমাজসেবী হওয়া সত্ত্বেও অনেক বিচারকের দরজা দেওয়া হল এই শনিবার।
Comments