আজ ২৭শে ভাদ্র। কৌশিকী অমাবস্যা। কথিত আছে, আজকের দিনেই মায়ের সাধক বামাক্ষ্যাপা সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। তারাপীঠ শ্মশানের শ্বেত শিমূল তলায় সাধনা করার সময় তাঁর সামনে উদীত হয়েছিলেন মা। গেরুয়া বস্ত্র ছেড়ে, রক্তবস্ত্র ধারণ করেছিলেন বামা ক্ষ্যপা। এই বিশেষ অমাবস্যাটি নিয়ে পুরাণেও রয়েছে নানা গাথা। দিনটি ঘিরে রয়েছে বিশেষ মাহাত্ম্যও।
প্রতিদিনের থেকে আজ একটু আলাদা হয় আজকের তারাপীঠের কালির পুজো। পুজো শুরু হয় কাকভোরে। মাকে আরতি করা হয় পাঁচ রকমের ফল ও মিষ্টির সঙ্গে। তারপর তাঁকে স্নান করানো হয়। রাজবেশে সেজে ওঠেন তারাপীঠের তারা মা।
পুন্যতিথির দুপুরে মা-কে দেওয়া হয় বিশেষ ধরণের অন্নভোগ। এদিন সকাল,দুপুর,সন্ধ্যা এবং রাত, চার দফায় মাকে ভোগ অর্পণ করা হয়। ভোগে থাকে ফ্রায়েড রাইস, সাদাভাত,বাসন্তী পোলাও, ১১ রকম ভাজা, পোড়া শোল, ইলিশ-সহ পাঁচ রকম মাছ, চাটনি,পায়েস এবং অন্যান্য উপাচার।
সন্ধ্যেয় হয় বিশেষ সন্ধ্যারতি। মা-কে নিবেদন করা হয় বিশেষ এক ধরণের শীতল ভোগ। যে ভোগে থাকবে লুচি, সুজি, বিভিন্ন রকমের ফল, পাঁচ রকম মিষ্টি ও ক্ষীর-সহ অন্যান্য উপাদান। এছাড়াও আমিষে থাকে মাছ, মাংস এবং আরও হরেক উপাচার।
আজকের দিনের এই পুণ্যতিথিতে অগণিত দর্শনার্থীর ভিড় জমেছে তারাপীঠে মা তারার মন্দিরে। আজ সারাদিন মায়ের পুজো অর্চনার পর তারাপীঠ মহাশ্মশানে চলবেবিশেষ হোম এবং যজ্ঞের আয়োজন। অন্যদিকে, পুণ্যার্থীদের ভিড় ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেছে প্রশাসন৷।
コメント