top of page
Writer's pictureJaita Chowdhury, WTN

দিল্লিতে তৃনমূলের ধর্নার সরাসরি সম্প্রচার, ব্লকে ব্লকে বসানো হবে জায়েন্ট স্ক্রিন



দিল্লিতে আয়োজিত তৃণমূলের প্রতিবাদ কর্মসূচি বাংলার প্রতিটি ব্লকে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। অক্টোবরের ২ এবং ৩ তারিখ কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে দিল্লিতে সোচ্চার হবে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই প্রতিবাদের ধ্বনি যাতে পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেকটি ব্লকে ব্লকে পৌঁছে দেওয়া যায়, তার উদ্যোগই নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।


এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলার তৃণমূলের সভাপতিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রতিটি ব্লকে যেন জায়ান্ট স্ক্রিনের মাধ্যমে দিল্লির প্রতিবাদ কর্মসূচির সরাসরি সম্প্রচার দেখানো হয়। তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, প্রতিটি ব্লকের বিডিও অফিসের সামনে টানা দুদিন ধরে প্রতিবাদ কর্মসূচির সম্প্রচার দেখানোর ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব।


জেলা সভাপতিরা নির্দেশ পাওয়ার পরে জেলা কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, ব্লক সভাপতিদের এই কর্মসূচির আয়োজন করতে হবে। বিডিও অফিসের সামনে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হবে, যাতে বিপুল জনসমাগম সম্ভবপর হয়।


ইতিপূর্বে একুশে জুলাই শহীদ দিবসের মঞ্চ থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় 'দিল্লি চলো' কর্মসূচি সূচনা করেছিলেন। তখন থেকেই ঠিক ছিল বাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে নেতা-নেত্রীরা দিল্লি গিয়ে কৃষি ভবনের বাইরে ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রাখা এবং কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে ধর্নায় বসবেন।


তবে শেষ পর্যন্ত দিল্লি পুলিশের সম্মতি না মেলায় সেই কর্মসূচিতে কয়েকটি বদল আনা হয়েছে। ঠিক হয়েছে তৃণমূলের সাংসদ বিধায়ক জেলা পরিষদের সভাপতি ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দেবেন।


২রা অক্টোবর গান্ধীজয়ন্তীর দিনে রাজঘাটে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক ব্যানার্জি প্রার্থনা করে কর্মসূচি শুরু করবেন। এরপর কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়নের মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের সঙ্গে দেখা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রীর দপ্তরে ৫০ লক্ষ চিঠি জমা দিয়ে দাবি আদায়ের পক্ষে সরব হবেন তাঁরা। এরপরের দিন ৩রা অক্টোবর দিল্লির যন্তর মন্তরের সামনে ধর্না কর্মসূচির আয়োজন করবে তৃণমূল। এই দুই দিনের কর্মসূচি বাংলার প্রতিটি ব্লকে জয়েন্ট স্ক্রিনের মারফত সম্প্রচার করা হবে। এ প্রসঙ্গে এক তৃণমূল নেতার বক্তব্য, "বাংলার গ্রামীন এলাকার মানুষ যেহেতু ১০০ দিনের কাজের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত এবং তাদের টাকা আটকে রাখার কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দল যে দিল্লিতে প্রতিবাদ করছে তা মানুষের কাছে তুলে ধরতেই এই প্রচার কৌশল।"


প্রসঙ্গত, 'দিল্লি চলো' কর্মসূচিতে যোগদান করতে তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের একদিন আগেই দিল্লি পৌঁছে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে তৃণমূলের অভিযোগ কে পাল্টা কটাক্ষ করে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর গিরিরাজের বক্তব্য, " বাংলার আবাস যোজনা বা ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের মধ্যে স্বচ্ছতা নেই। সেই জন্যই অর্থ মজুর করা যাচ্ছে না।" কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আরও সংযোজন," পশ্চিমবঙ্গে আবাস যোজনায় ৩৪ লক্ষ বাড়ি মঞ্জুর করা হয়েছিল। তারজন্য অর্থও বরাদ্দ করা হয়। পরেও প্রায় ১১ লক্ষ বাড়ি মঞ্জুর করা হয়। আগামী দিনের স্বচ্ছতা ছাড়া টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। বাংলায় ১০০ দিনের কাজেও ভুরি ভুরি দুর্নীতি হয়েছে।" কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এরূপ মন্তব্যের পর দিল্লিতে তৃণমূলের প্রতিভারের সুর যে আরো চওড়া হবে, তা সহজেই অনুমেয়।

Comments


bottom of page