উত্তরদিনাজপুরের রায়গঞ্জে তৃণমূল বনাম তৃণমূল। দলের এক নেত্রীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ খোদ তৃণমূলেরই এক নেতার বিরুদ্ধে।
রায়গঞ্জ পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পুর কো-অর্ডিনেটর ও তৃণমূল মহিলা জেলা নেত্রী চৈতালী সাহা। তাঁর অভিযোগ রবিবার তার বাড়িতে চড়াও হয় তারই দলের কিছু কর্মী। তার ঘরে এসে তারই অনুগামীদের শাসানো হচ্ছিল। তিনি প্রতিবাদ করাত তাকে মারধর করা হয়। অভিযোগের তীর রয়েছে তৃণমূল নেতা প্রসেনজিৎ সাহার দিকে। এই প্রসেনজিৎ সাহা বিধায়ক ও পুরপ্রশাসক কৃষ্ণকল্যানীর ওয়ার্ড প্রতিনিধি।
সূত্রের খবর এলাকা দখল নিতেই ঝামেলা। অনেকদিন ধরেই এলাকা দখলের লড়াই চলছিল চৈতালী সাহা ও প্রসেনজিৎ সাহার। অভিযোগ, রবিবার প্রসেনজিৎ সাহা দলবল নিয়ে চড়াও হন চৈতালীর বাড়িতে। প্রথমে তার অনুগামীদের শাসানো শুরু হয়। পরে চৈতালী প্রতিবাদ করায় তাঁকেও মারধর করা হয়।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত প্রসেনজিৎ সাহা। পাল্টা তাঁর দাবি, তিনি একজন সাধারণ তৃণমূল কর্মী। তাঁর অনুগামীদের মহিলা সভানেত্রী তথা স্থানীয় ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর চৈতালি ঘোষের লোকজনই মারধর করেছে।
প্রসেনজিৎ বলেন, “সামনে পুরভোট। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতিটা মানুষ নাজেহাল। সেখানে আমি মানুষের পাশে দাঁড়াই। তাতেই রাগ। চৈতালি ঘোষ সাহা আমাকে চড় মারেন। এখন উনি নাটক করছেন। ২০১৭ সালের ভোটে উনি ফেল করা ছাত্রী। উনি ভোট কেড়ে নিয়েছেন। তবে এবার মানুষও সরব। মানুষের কথা আমি শুনি। এটাতেই সমস্যা।”
তবে তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র ও রায়গঞ্জ পুরসভার প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, “এর তীব্র নিন্দা করি। দল বসে থাকবে না। এভাবে মহিলা নেত্রীকে হেনস্থা করা, তাঁর বাড়ির দরজায় পৌঁছে যাওয়া মেনে নেওয়া হবে না। মহিলানেত্রী ৫ বছরের কাউন্সিলর থাকাকালীন নিজের দায়িত্ব ভালভাবেই পালন করেছেন। দলকে জানাব। রায়গঞ্জ থানাতেও ডায়েরি করা হবে। বিভিন্নভাবে এলাকাকে কলুষিত করতে এসব করা হচ্ছে।”
Comments