শনিবার মধ্যরাতে ‘অ্যাকশন’ কাকে বলে, তা দেখাবেন বলে মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যপাল। মধ্যরাতের কিছু আগে রাত ১১টা ৪২ মিনিটে রাজভবনের থেকে জানানো হয়, রাজ্যপাল একটি বার্তা পাঠিয়েছেন নবান্নে। বার্তা গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও।
মুখবন্ধ খামে কি গোপনীয় বার্তা পাঠিয়েছেন তিনি? তাতে কী রয়েছে! তার কোনো ইঙ্গিত মেলেনি।
রাজ্যপালের এই গোপন চিঠিকে ঘিরে নানা জল্পনা তৈরি হয় রাতে। রাজভবন থেকে সকালেও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি । রাজভবন, রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কিছু না জানানো পর্যন্ত জল্পনাই ভরসা।
তবে এটা ঠিক যে, রাজ্যপাল এমন কিছুই জানিয়েছেন, যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় উঠতে পারে।
সূত্রের ধারণা, সেই কারণেই এত গোপনীয়তা।
১২ ঘন্টা কেটে যাওয়ার পরও রাজ্যপাল এর চিঠি রহস্যের কোনো সমাধান মেলেনি। রাজনৈতিক মহল থেকে রাজভবন নবান্ন সকলেই চুপ।
রাজ্যের শাসকদলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘রাজ্যপাল তো রাত জাগতে চাইছেন। নিশাচরের মতো আচরণ করছেন। যা স্বাভাবিক নয়। কবি বলে গিয়েছেন, ‘জাগরণে যায় বিভাবরী, আঁখি হতে ঘুম নিল হরি’। অর্থাৎ, ব্রাত্য ওঁর ঘুম কেড়ে নিয়েছেন।’’
রাজ্যপালের চিঠি-রহস্য নিয়ে কাব্য করেছেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যও। তাঁর কথায়, ‘‘আমি রাজভবনের মুখপাত্র নই। আমাদের সাংবিধানিক প্রধান গভীর রাতে কাকে কী অনুরাগের ছোঁয়া দিয়েছেন, আমার জানা নেই। কিন্তু আমাদের এখানে মধ্যরাতের প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে। আমাদের দেশের স্বাধীনতালাভও মধ্যরাতেই।’’
Comments