নিজেদের দাবি নিয়ে চিঠি লিখেছে বাংলার মানুষ।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেই চিঠি কাধে নিয়ে যন্তর মন্তরে পায়ে হেঁটে দিল্লির কৃষি ভবনে অভিষেক।দিল্লিতে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে অবস্থান বিক্ষোভ করছে। ফেসবুক লাইভ করে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাদের কৃষি ভবনের বাইরের ঘরে বসিয়ে রাখা হয়েছে সন্ধ্যে ৬ টা থেকে। দেড় ঘন্টা বসিয়ে রেখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, তিনি তৃণমূল প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না। এরপর তৃণমূল প্রতিনিধিদল জানিয়েছেন তারা দেখা না করে যাবেন না।
দপ্তরের ভেতর থেকে ফেসবুক লাইভ করে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তারা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নামে অভিযোগ করেন, সময় দিয়েও তিনি দেখা করছেন না। এরপর শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন মন্ত্রীর কথাতেই সময় বদলে ছিল। দেখা করবেন কিনা সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাচ্ছেন না। তবে তারা দেখা না করে যাবেন না।
কৃষি ভবনের ভিতর থেকে লাইভে অভিষেক অভিযোগ করেন শুভেন্দু আধিকারিক এর সঙ্গে দেখা করার পরই মন্ত্রী কৌশল করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এরপর অভিষেক বলেন,মন্ত্রী বলছেন দেখা করবেন না আমরা বলছি দেখা না করে যাব না এখান থেকে।
প্রথমে ঠিক হয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তৃণমূল প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দুপুর বারোটায় দেখা করবেন। এরপর সময় বদলায়। যে কারণে যন্ত্রর -মন্তরে তৃণমূলের ধর্ণা কর্মসূচিও সকাল ন'টার বদলে শুরু হয় দুপুরে ১ টার সময়। শুভেন্দু অধিকারী বিকেলে গ্রামন্বয়ন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কৃষি ভবনে গিয়ে দেখা করে আসেন। ১০০ দিনের কাজে বাংলায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে একটি চার পাতার চিঠিও দিয়েছেন শুভেন্দু। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন রাজ্যে ১০০ দিনের কাজে খুব কম করে হল দুর্নীতি হয়েছে ৫০০০ কোটি টাকার।
অভিষেক ছাড়াও সেখানে রয়েছেন তৃণমূলের সমস্ত সাংসদ। চারজন মন্ত্রী এবং ১০০ দিনের কাজের টাকা না পাওয়া বেশ কয়েকজন মোট ৪০ জনের প্রতিনিধি দল পৌঁছেছে কৃষি ভবনে।
Comments