রংপোর পুনর্বাসন নিয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হলো। সেই কমিটির বৈঠকে বিভিন্ন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত এনএইচপিসির অফিসার এবং কালিপং এর জেলা প্রশাসনের অফিসাররা ছিলেন। তিস্তার ভয়াবহ জলস্ফীতিতে গত ৪ অক্টোবরের পর থেকে বহু মানুষ ২৫ থেকে ২৬ দিন ধরে ত্রাণ শিবিরেই রয়েছেন। এদিকে চিকিৎসা ও খাবারের বন্দোবস্তের পর তিস্তার জল নামতেই দমকল এবং স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরা বাড়িগুলো পরিষ্কার করছে। বাড়িগুলো পরিষ্কার করে পলি, কাদা বার করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে অক্টোবরের শেষে শীত পড়তে তিস্তার জল কমে আসছে। আপাতত পরিস্থিতি দেখে নিয়ে পুনর্বাসনের কাজ করার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনের সূত্রে খবর একটি পর্যবেক্ষণ কমিটি তৈরি করা হয়েছে। এলাকার সমস্ত জিটিএ সদস্য কালিম্পং এর বিধায়ক পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতি প্রধান সদস্যদের নিয়ে এই কমিটি তৈরি করা হয়েছে। তিস্তা বাজারসহ গেলখোলা, রংপোর এলাকার বাড়িঘর দোকান সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির একটি তালিকা তৈরি করা হবে । কমিটি সাত দিন পর চূড়ান্ত রিপোর্ট দেবে। এরপর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ব্যক্তিদের ধরে ধরে সাহায্য করা শুরু হবে । সিকিমের মতো ওই এলাকাগুলির পরিকাঠামো নতুন করে তৈরি করা হবে তবে বাড়ি ও দোকানঘর তৈরির বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।
রবিবার কালিংপং জেলা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন জিটিএ প্রধান অনিত থাপা । তিনি বলেন তিস্তার ধার ধরে কালিম্পং জেলা যা ক্ষতি হয়েছে তা একার পক্ষে ঠিক করা সম্ভব নয়। সরকারি সাহায্য লাগবেই তবে সকলে মিলে কাজ করলে লড়াইটা আমরা কয়েক মাসের মধ্যেই জিতে দৃষ্টান্ত তৈরি করতে পারব। বিপর্যয়ের পরে এলাকার ত্রাণসহ রাজ্য সরকার ২৫ কোটি টাকা দিয়েছেন। এর মধ্যে বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তাও দাবি করেছেন,তিনি কালিম্পং জেলার রিপোর্ট দিল্লিতে দিয়েছেন। সেখান থেকে আর্থিক সাহায্যের বিষয়টি নিয়ে নিশ্চয়ই ভাবা হবে। এছাড়াও ক্ষয়ক্ষতির টাকার মূল্যে কতটা তা আগাম তৈরি করা হচ্ছে। বাড়িঘর ছাড়াও ঠিক কত জনের কি কি ক্ষতি হয়েছে তার হিসাবও তৈরি করা হচ্ছে।
প্রশাসনের সুত্রে খবর, কালিম্পং জেলা প্রশাসনের রিপোর্ট অনুযায়ী ৫৫০ টি বাড়ির ক্ষতি হয়েছে এর মধ্যে পুরোপুরি ক্ষতি থেকে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘরও রয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ৬০০টি পরিবারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রশাসনের তরফে তা কলকাতায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
Comments