পরিস্থিতি মোটেই সুবিধার নয়। দুই পক্ষই নিজের নিজের অবস্থানে অনড়। ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ থেকে গত দুইদিনে কানাডা এক চুলও সরেনি। সেই দেশের নাগরিককে হত্যা করেছে ভারত সরকার – কোনো প্রমাণ না রেখেই এই অভিযোগ করেন সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী। এবার কানাডার বিদেশ মন্ত্রক ঘোষণা করলো যে, ভারতে নিযুক্ত কানাডার বিদেশদূতদের সংখ্যা এখন থেকে কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
ভারত চুপ করে বসে নেই। কানাডার এই অবিবেচক পদক্ষেপের পর কানাডার অধিবাসীদের জন্যে ভিসা প্রদানের প্রক্রিয়াটাকেই সাময়িক বন্ধ করে রাখল নরেন্দ্র মোদীর স্বরাষ্ট্র এবং বিদেশ মন্ত্রক।
কানাডার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স থেকে বলা হচ্ছে যে বিভিন্ন সমাজ মাধ্যমের প্ল্যাটফর্মে ভারতে নিযুক্ত কিছু কূটনীতিবিদদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই হুমকিগুলিকে কানাডার বিদেশ দফতরের দাবি অনুযায়ী, গত সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর, কানাডার প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগের পর থেকেই শুরু হয়েছে। সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী গত সোমবার কোনো প্রমাণ ছাড়াই অভিযোগ করেছিলেন যে ভারত সরকারের ষড়যন্ত্রে কানাডার এক নাগরিককে গত জুন মাসে হত্যা করা হয়েছে।
খলিস্থানি এই অভিবাসী শিখ নেতার হত্যায় ভারতের যোগ আছে – এই আরোপকে ‘ঘোর অবাস্তব’ (অ্যাবসার্ড) বলে উড়িয়ে দিয়েছে। ১৯শে জুন কানাডাতে হরদ্বীপ সিং নিজ্জর নামে যে শিখ নেতা ভারতে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন, তার হত্যকাণ্ডে ভারতের কোনো হাত নেই বলে বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিয়েছে ভারত।
অন্যদিকে কানাডার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স বিবৃতি দিয়েছে, “বর্তমান অনিশ্চিত আবহাওয়ায় আমরা আমাদের কূটনীতিবিদদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নিচ্ছি।“
ভারত এবং কানাডার মধ্যে এই দ্বন্দ্বের বাতাবরণেই আমেরিকার রাষ্ট্রপতিকে আগামী জানুয়ারি মাসে আমন্ত্রণ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে কানাডা এবং ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের জন্যে যে ব্যবসায়ী এবং শিক্ষার্থীরা কানাডায় বানিজ্য এবং শিক্ষাগ্রহণে নিয়মিত যান, তাঁদের জীবনে যে ঘোর বিপদ নেমে আসছে, সেইদিকে দুই রাষ্ট্রনায়কের খেয়াল আছে কি?
Comentarios