মঙ্গলবার রাত থেকে বৃষ্টির জেরে সিকিমে আজ মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টিতে বিপর্যয়ের সূত্রপাত তা ভয় ধরাচ্ছে উত্তরবঙ্গে । ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সিকিমের ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ভেঙ্গে গিয়ে তার একাংশ জলের মধ্যে পড়ে যায়। এর ফলে সিকিমের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগের সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
আজ, ৪ঠা অক্টোবর, বুধবার, কাক ভোরে উত্তর সিকিমে বৃষ্টির ফলে জলরাশি ধরে রাখতে পারেনি বাঁধ। ফলের লোনাক হ্রদ ফেটে সেই তিস্তা নদীর বুকের উপর দিয়ে জল বইতে শুরু করে। এর ফলে তিস্তা নদীর জল স্তর ১৫ থেকে ২০ ফুট বেড়ে যায় দুপুর ছাপিয়ে নিচের দিকে ছুটতে থাকে তিস্তা।
নদীর কাছাকাছি ছিল সেনা ছাউনি। তা সম্পূর্ণ ভেসে গিয়েছে ছাউনের ২৩ জন সেনা জওয়ানো তারা স্রোতে ভেসে গিয়েছে তারা এখন নিখোঁজ এখনো পর্যন্ত যা পরিস্থিতি আশঙ্কা করা যাচ্ছে তিস্তার হড়পা বানে বহু সাধারণ মানুষের নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। এই প্রবল জলরাশির টানে প্রচুর মানুষের সাথে সাথে বহু ঘর বাড়ি রাস্তা ভেসে গিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এখন উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন মন্ত্রী ও আমলারা।পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই নির্দেশ দিয়েছে না মুখ্যমন্ত্রী কালিম্পং দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ির নিচে এলাকা থেকে মানুষদের সরানোর।
নবান্নের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সিনিয়র আইএএস আধিকারিক এবং রাজ্যের সিনিয়র মন্ত্রী উত্তর বঙ্গের দিকে রওনা হয়ে গিয়েছেন।
এছাড়াও ১০ নম্বর সড়ক এভাবে ভেঙে যাওয়ায় ভারতের সাথে সিকিমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ইফতারে ভয়াবহ রূপের কারণে 23 জন জওয়ান ভেসে যায় জলের টানে। স্রোত এতটাই প্রবল ছিল যে ৪১ টি জওয়ানের গাড়িও সেই জলে ভেসে যায়।
স্থানীয় প্রশাসনের সূত্রই জানা যায় নিখোঁজদের উদ্ধারের কাজ এই মুহূর্তে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে। বৃষ্টি থামলে আরও দ্রুত কাজে এগোবে। এছাড়াও স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, নিচু এলাকার মানুষদেরকে সুরক্ষিত জায়গায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আশেপাশে এলাকার মানুষজনদেরকে মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে।
Commentaires