উত্তরবঙ্গ নির্বাচনে চা বাগান গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। গত বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনে চা বাগানে নজর কেড়েছিল পদ্ম শিবির। কিন্তু এবারের ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে বিজেপির পরিবর্তে ফুল ফোটাল তৃনমুল। ধূপগুড়ি কেন্দ্রে রয়েছে ৫টা চা বাগান।
উত্তরবঙ্গ বিজেপির শক্ত মাটি। সেখানে বিজেপির সাথে হাডাহাডি লড়াই করে তৃনমুল ছিনিয়ে নিল ধুপগুড়িকে।
২০১৯ নির্বাচনের পর উত্তরবঙ্গ থেকে প্রতিমন্ত্রী সভায় যোগ পায় নিশীথ পরামানিক এবং জন বার্লা। অভিযোগ ওঠে, নির্বাচনে জেতার পরে এনারা কেউই এলাকার মানুষদের উন্নতির জন্যে কিছুই করেননি। তারই কি প্রভাব পড়লো এই নির্বাচনে?
উত্তরবঙ্গে রাজবংশী ভোট প্রায় ৩৪% । তারমধ্যে জলপাইগুড়িতে রাজবংশী ভোট ৫০ শতাংশ। ২০২১ এর নির্বাচনে রাজবংশী সম্প্রদায়ের বিষ্ণুপদ রায় যেতেন বিজেপির থেকে। তার মৃত্যুতেই হয়ে উপনির্বাচন। ফলাফল যায় ঘাসফুলের দিকে।
কিছুদিন আগে অনন্ত রায়কে রাজ্যসভার সাংসদ বানায় বিজেপি। তাঁকে নিয়ে ধুপগুড়িতে ভোটে এত প্রচার করেও লাভ হলো না বিজেপির।
যে কোনো রাজনৈতিক দলের কাছে রাজবংশী ভোট গুরুত্বপূর্ণ। এই ধূপগুড়ি নির্বাচন পর কি বোঝা যাচ্ছে চা বাগানের শ্রমিকরা বিজেপির থেকে মুখ ফেরাচ্ছে?
Comments