যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর চূড়ান্ত রিপোর্ট আজ অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি জমা দিল উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে। সূত্রের খবর, ওই রিপোর্টে তদন্ত কমিটি র্যাগিং রুখতে বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপের সুপারিশও করেছে। র্যাগিং-এ ধৃত চার বর্তমান পড়ুয়াকেও আজীবন বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে রিপোর্টে। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই কয়েকজন প্রাক্তনীর বিরুদ্ধেও পুলিশি ব্যবস্থার সুপারিশও করা হয়েছে।
৯ অগস্ট রাতে মেন হস্টেলের এ-২ ব্লকের তিন তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল প্রথমবর্ষের বাংলা বিভাগের পড়ুয়ার। ঘটনার পরদিন ভোর-রাতে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় ওই ছাত্রের। রহস্যমৃত্যুর নেপথ্যে র্যাগিংয়ের অভিযোগ তোলেন মৃত ছাত্রের বাবা। পুলিশি তদন্তের পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনেই অভ্যন্তরীণ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ইতিপূর্বে, উপাচার্যের কাছে একটি প্রাথমিক রিপোর্টও জমা করেছিল এই কমিটি। তবে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টে বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯ অগস্ট মেন হস্টেলের এ-২ ব্লকে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের অনেকেই ঘটনা প্রসঙ্গে সঠিক বর্ণনা দেননি। তাঁদের বয়ানে যথেষ্ট অসঙ্গতি ছিল। কেউ কেউ তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টাও করেন। তা ঘটনার মোড় ঘোরানোর জন্যই কিনা খতিয়ে দেখবে পুলিশ। এ হেন অভিযোগ এনে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি র্যাগিংয়ে জড়িত ১৫ জন পড়ুয়াকে একটি সেমেস্টার, ১১ জন পড়ুয়াকে দু’টি সেমেস্টার, পাঁচ জনকে চারটি সেমেস্টারে সাসপেন্ড করা হতে পারে।
এই ঘটনায় জড়িত আরেক ছাত্র যিনি পিআইচডির ছাত্র, তাঁকেও গবেষণা শেষ হওয়ার পর আর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশাধিকার দেওয়া হবেনা। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অভ্যন্তরীণ কমিটির রিপোর্টের সুপারিশ মেনে সিনিয়রদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে হস্টেল ছাড়তে হতে পারে।
প্রসঙ্গত, এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি এবং ইসি সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রতিনিধি দল। , ইউজিসির প্রতিনিধিরা প্রশ্ন তুলেছেন,কেন এত নরম মনোভাব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের? এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক দর্যাগিং্যের অভিযোগ পেয়েও কেন হাত গুটিয়ে ছিলেন তিনি? ইউজিসির র্যাগিং বিরোধী নির্দেশিকা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এতদিন কেন মানেনি তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইউজিসি।
Comentarios