top of page

সংসদে আজ বিশেষ অধিবেশন, পাস হবে কি নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বিল?


তড়িঘড়ি করে সংসদে যে বিশেষ অধিবেশনটি সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হলো, তা নিয়ে বাড়ছে জল্পনা। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী গত শনিবারই বিভিন্ন সমাজ মাধ্যমে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, প্রত্যেক বিজেপি দলের সাংসদ যেন এই অধিবেশনে উপস্থিত হল কারণ, এই অধিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


ভারতের সাধারণ মানুষের কাছে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের বিষয় যে বার্তাগুলি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে চিন্তার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। শীতকালীন সংসদ অধিবেশনে নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ, প্রেস অ্যান্ড ইনফরমেশন এবং পোস্ট অফিস সংক্রান্ত বিলগুলির প্রস্তাব আনলে মহাভারত কীভাবে অশুদ্ধ হতো, সেই বিষয়ে সাধারণ মানুষদের বিশেষ ধারণা নেই।


ক্ষমতাসীন সরকারের পক্ষ থেকে যখনই এই ধরণের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়, তখনই সংখ্যাধিক্যের নিরিখে ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দল দেশের সাধারণ মানুষদের থেকে সচেতনভাবে দূরত্ব সৃষ্টি করে। বর্তমানে দেশে এমন কোনো জরুরি অবস্থা তরি হয়নি, যার জন্যে এই বিশেষ সংসদ অধিবেশন আয়োজিত হচ্ছে।


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই মুহূর্তে সংসদে নিজের বক্তব্যে ভারতের অমৃতকাল (৭৫-৭৬তম স্বাধীনতা বর্ষ উদযাপন এবং দেশের সংবিধানের গুরুত্ব বোঝাচ্ছেন জগৎবাসীকে। তবে পাঁচ দিনের এই অধিবেশনের সুচনা যতই মধুর সুরে হোক না কেন, আগামী এক-দুই দিনেই তা তিক্ততার পর্যায়ে পৌঁছে যাবে।


কারণ, নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ পদ্ধতি পরিবর্তনের প্রস্তাব আনছে ক্ষমতাসীন সরকার। যেখানে তাঁদের প্রস্তাব, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের উপরে একজন প্রধান নির্বাচন অফিসারকে নিয়োগ করা হোক। এই নিয়োগটির বিল বিজেপি উত্থাপন করে বর্ষাকালীন সংসদ অধিবেশনের শেষদিনে রাজ্যসভায়। তারই জের টানা হবে এই অধিবেশনে, যাতে তা লোকসভা এবং রাজ্যসভায় ধ্বনি ভোটে পাস হয়ে যায়।


বস্তুত, ‘এক দেশ এক ভোট’ নিয়ে কিছুদিন আগেও প্রধানমন্ত্রী যেভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন, তা থেকে সংযত হয়ে তিনি এই অধিবেশনের জন্যেই অপেক্ষা করছিলেন। এমনটাই অভিজ্ঞ মহলের ধারণা। অনেকে এমনটাও মনে করছেন, বিরোধীরা যদি এই বিশেষ বিলটির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আসন্ন লোকসভার ভোট পিছিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। এবং এমনটা হলে ক্ষমতাসীন সরকারেরই সুবিধা বেশি বলে অভিজ্ঞজনেদের ধারণা।


এছাড়াও প্রেস সংক্রান্ত বিলটিতে ডিজিটাল মিডিয়াকে আওতাভুক্ত করবার প্রস্তাব রয়েছে। যার ভালো এবং মন্দ দিকগুলি ক্রমশ স্পষ্ট হবে।

Comments


bottom of page