সোশাল মিডিয়ায় আলাপ থেকে প্রেম হয় তারপর বিয়ে। বিয়ের তিন মাসের মধ্যেই সম্পর্কের করুণ পরিনতি। স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার স্বামী। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি পরিবারের।
সোনারপুরের একটি বালিকা বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রী ছিল পিঙ্কি মাইতি। এবার তার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। সোশাল মিডিযায় তার সাথে আলাপ হয় ঈশান দাসের। সোনারপুরেরই যুবক ঈশান দাসের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে পিঙ্কি।
বিষয়টি দুই পরিবারে জানাজানি হলে পিঙ্কির পরিবার থেকে এখনই বিয়ে তে বাধা দেওয়া হয়৷ পরিবারের অমতে পালিয়ে গিয়ে মাত্র তিনমাস আগে জুন মাসে বিয়ে করে ঈশান ও পিঙ্কি।
কিন্তু বিয়ের পর থেকেই পিঙ্কির উপর অত্যাচার শুরু হয়। পিঙ্কির দিদির কাছে হঠাৎ ফোন আসে তার বোন অসুস্থ। তারপর সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে গিয়ে দেখেন অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছে পিঙ্কি। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন।
এই ঘটনায় ঈশান সহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয় সোনারপুর থানায়।
পিঙ্কির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ঈশানকে গ্রেফতার করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন বারুইপুর পুলিশ জেলার ডিএসপি মোহিত মোল্লা।
Comments