top of page

রাজ্যে বন্যার সম্ভাবনা, নবান্ন থেকে আপতকালীন নির্দেশ


ঝাড়খণ্ডের মালভূমি অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে হাওড়া, হুগলী, পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর – পশ্চিমবঙ্গের এই সাত জেলায় বন্যার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।


সেই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নবান্ন থেকে সংশ্লিষ্ট জেলা আধিকারিদের বার্তা পাঠানো হয়েছে যেন তাঁরা তৎক্ষণাৎ সতর্কতামূলক ব্যবস্থাদি গ্রহণ করেন। বন্যা পরিস্থিতি সামলানোর জন্যে রাজ্যের চিফ সেক্রেটারির সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্ট ৭ জেলার ডিএম, কমিশনার অফ পুলিশ/পুলিশ আধিকারিক এবং তদ্ধোর্ধ পদাধিকারীদের একটি ভার্চুয়াল মিটিং হয় আজ।


সেই ভার্চুয়াল মিটিং-এ চিফ সেক্রেটারি জানান যে আবহাওয়া দফতর থেকে সতর্কতা জারি করা হয়েছে আগামী ৩রা থেকে ৫ই অক্টোবর অবধি ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ঝাড়খণ্ডে চিহ্নিত বর্তমান গভীর নিম্নচাপ রেখা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে এই বিরাট এলাকায় ৫০ মিলিমিটারের চেয়েও বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে, এই সাত জেলার নদীর বাঁধগুলিতে প্রচণ্ড চাপে জলরাশি আসতে পারে।


মাইথন জলাধারে বর্তমানে ৬০,০০০ কিউসেক, এবং পাঞ্চেত জলাধারে ৭৩,০০০ কিউসেক জল ধারণের ক্ষমতা রয়েছে। কিন্ত আজ সোমবার ২রা অক্টোবর সকাল ৯টা থেকেই এই জলাধারগুলিতে ১,০০,০০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এর ফলে বিপদমাত্রার থেকে সামান্য নিচে জল রয়েছে এই জলাধারগুলিতে। এর পরে অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে বাঁধগুলিতে যাতে সতর্ক হয়ে জল ছাড়ার ব্যবস্থা হয়, তা নবান্ন-র এই ভার্চুয়াল মিটিং-এ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ এবং আধিকারিকদের সূচিত করা হয়েছে।


জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে নিজেদের জেলার বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলিকে যেন অবিলম্বে চিহ্নিত করা হয়। প্রয়োজনে সেই এলাকাগুলি থেকে বাসিন্দাদের সুরক্ষিত জায়গায় সরানোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে প্রস্তুত থাকতে হবে।


যে এলাকাগুলিতে জল জমে সেগুলিকে নিরন্তর নিরীক্ষণ করতে হবে, এবং আপতকালীন মেরামত করতে হবে। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সেচ দপ্তর এবং জলপথের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জেলা কতৃপক্ষকে সমন্বয় রক্ষা করতে হবে।


বালির বস্তা প্রভ বন্যা-প্রতিরোধক জিনিসপত্র সহ পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রান সামগ্রী মজুদ রাখতে হবে এই বিপজ্জনক এলাকাগুলিতে। পর্যাপ্ত পরিমাণ আলোরও ব্যবস্থা করতে হবে যাতে রাতে উদ্ধারকার্য ব্যহত না হয়।

বন্যা যে শুধু নিচু এলাকাগুলিতেই জনজীবন বিপর্যস্ত করবে, তা নয়। জেলাগুলির যে কোনো এলাকাতেই এই প্রবল বৃষ্টিপাতের প্রভাব পড়তে পারে।

জেলাগুলি থেকে প্রতি ৫ ঘণ্টা অন্তর নদীর জলের উচ্চতা,বাঁধগুলির অবস্থা এবং প্রয়োজনে মানুষজনকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সংক্রান্ত রিপোর্ট নবান্নে পাঠাতে হবে, যা ডিসাস্টার ম্যানেজমেন্ট-এর দিনরাত সক্রিয় কন্ট্রোল রুমেতেও পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

Comentários


bottom of page