রাত পোহালেই জি-২০ । ইতিমধ্যেই দেশের রাজধানীতেআসতে শুরু করেছেন একাধিক দেশের রাষ্ট্রনেতা ও রাষ্ট্রপ্রধানরা । তাই সকলের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে , নিরাপত্তার এক ঘেরাটোপে ঘিরে ফেলা হয়েছে সমগ্র নয়া দিল্লি ।
এদিন কাক ভোর থেকে নয়া দিল্লিতে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে যান চলাচল । জি-২০ সম্মেলনের নিরাপত্তার সাথে জিরো টলারেন্স মোদী সরকারের । জি-২০ সম্মেলন এর নিরাপত্তার স্বার্থে, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ সুনিশ্চিত করতে দিল্লিকে কয়েকটি আলাদা জোনে ভাগ করা হয়েছে।
নতুন দিল্লি এলাকাকে 'কন্ট্রোলড জোন ওয়ান' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে এদিন সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্ডিয়া গেট, কর্তব্য পথ, রাইসিনা রোড এবং প্রগতি ময়দানের ভারত মন্ডপমমুখী সহ মোট ১৬টি গুরুত্বপূর্ণ স্পর্শকাতর রাস্তা।
যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী লরি, অটো, ট্যাক্সি-সহ যাত্রী পরিবহনে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে । এমনকি, অনলাইন ডেলিভারির উপর ও রাস টেনেছে প্রশাসন ।
শুধুমাত্র, মেডিকেল এমার্জেন্সি এবং জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট ছাড়পত্র দেখিয়ে ছাড় পাওয়া হবে। নতুন দিল্লিতে মেট্রো পরিষেবা চালু থাকলেও সুরক্ষার স্বার্থে সুপ্রিম কোর্ট স্টেশন সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে। নতুন দিল্লি এলাকার মধ্যের মেট্রো স্টেশনে অধিকাংশ গেট বন্ধ রাখা হচ্ছে।
এছাড়াও জি-২০ সম্মেলন স্থলে বসানো হয়েছে ডিআরডিও-র তৈরি 'অপটিক্যাল টার্গেট লোকেটার'। এই অপটিক্যাল টার্গেট লোকেটার স্নাইপার আক্রমণকে নিয়ন্ত্রণ করবে অর্থাৎ কোন ব্যক্তি স্নাইপার নিয়ে হামলা চালাতে গেলেও, তা ধরে ফেলবে অত্যাধুনিক এই যন্ত্রটি।
দেবমাল্য ভট্টাচার্য
Comments