তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের দাবিতে রাজ্যের বিজেপি নেতারা যখন এবেলা ওবেলা মুখ খুলে চলেছেন, তখন সঙ্ঘের মুখপাত্রে ঠিক উল্টো দাবি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে "অনেকের কাছে এটা মূল সমস্যা অভিষেক কেন জেলের বাইরে? এটা অবান্তর চিন্তা। এই একমুখী ভাবনা এখনকার বিরোধীদের সত্য থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখছে।" এই লেখা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই গেরুয়া শিবির বিতর্কের মুখে। আরএসএসের সংগঠনের আদর্শ নিয়ে দল চলে,সেই সংগঠনের বক্তব্য জানার পর নিচু তলার কর্মীরা কি বুঝবেন তা নিয়ে চিন্তিত অনেক বিজেপি নেতা।
এই বিতর্ক তৈরি হয় যখন স্বস্তিকার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে কলকাতায় এসেছেন আরএসএসের স্বরসংঘচালক মোহন ভাগবত। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোহন ভাগবতের বেলুড়ে স্বস্তিকার একটি অনুষ্ঠানে হাজির থাকার কথা। যদিও স্বস্তিকার ও কর্তৃপক্ষ এবং এই লেখক এই আর্টিক্যাল নিয়ে খুব চিন্তিত নন। আর্টিকেলের লেখক নির্মাল্য মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, লেখা প্রকাশিত হওয়ার পরে তা নিয়ে তার কিছু বলা মানায় না। যা বলার পত্রিকার পক্ষেই বলা হবে। এদিকে স্বস্তিকার সহ-সম্পাদক সুকেশচন্দ্র মন্ডল বলেন, আমাদের একটি লেখা নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে তবে তা অবান্তর।
এই পত্রিকায় এমন একটি আর্টিক্যাল প্রকাশিত হওয়া নিয়ে প্রকাশে বিজেপি নেতারাও কিছু বলতে চাইছেন না তবে দলের ভিতরে আলোচনা চলছে। জলের নেতা থেকে কর্মীদের মোবাইলে মোবাইলে হোয়াটস্যাপে এই লেখাটি ঘুরছে। বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করা হলোও লেখার একটি ভাগে সরাসরি তারই সমালোচনা করা হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।
এই লেখা নিয়ে সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য,স্বস্তিকা একটি স্বাধীন পত্রিকা। সেখানে একজন লেখক পারেন তার মতামত প্রকাশ করতে স্বাধীনভাবে। স্বস্তিকায় প্রকাশিত আর্টিক্যালটিতে অনেক কিছু উল্লেখ করা হয়েছে বিজেপির নিয়েও। আর্টিক্যালে আরও অনেক কিছু দাবি করা হয়েছে, যেমন অভিষেকের বিরুদ্ধে কিছু অসংলগ্ন উল্লেখ ছাড়া খাতায় কলমে কোন অভিযোগ নেয় সে নিয়েও লেখা হয়েছে আর্টিক্যালটিতে।
এমন বক্তব্য কি সংঙ্ঘ পত্রিকার পরিবার সমর্থন করে?এমন প্রশ্নই বিজেপির অন্দরমহলে। নিচু তলার কর্মীরাই শুধু নয় রাজ্যস্তরের নেতারাও এই প্রশ্ন তুলেছেন। রাজ্যস্তরের নেতাদের মধ্যে একজনের আমার মনে হয় সম্পাদক মন্ডলী খেয়াল করে দেখেনি যে কী প্রকাশিত হতে চলেছে। লেখকের নাম দেখেই ভরসা করার জন্য এমন ফল।ভেতরে সাপ না ব্যাং সেটা দেখা উচিত বলে তিনি জানিয়েছেন।
Comments