বোর্ড গঠনের ৪০ দিনের মাথায় পঞ্চায়েত প্রধান বদলকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল বাঁকুড়ার তৃনমূল পরিচালিত বেলিয়াতোড় গ্রাম পঞ্চায়েতে। গত মাসে বোর্ড গঠনের সময় ভোটাভুটি ওই পঞ্চায়েতে প্রধান হিসাবে নির্বাচিত হন তৃনমূলের প্রদীপ পাল।
দায়িত্ব নেওয়ার কয়েকদিনের মাথায় তিনি পদত্যাগ করায় ওই পঞ্চায়েতে পুনরায় প্রধান নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়।বুধবার ওই পঞ্চায়েতে প্রধানের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় তৃনমূলেরই বিবেক সি র হাতে। কাটমানি নিয়ে গণ্ডগোলের জেরেই এই রদবদল কটাক্ষ বিজেপির।
গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০ টি আসনের মধ্যে সবকটি আসনেই জয় পায় তৃনমূল। গত ১১ আগষ্ট জেলার অন্যান্য গ্রাম পঞ্চায়েতের মতো বেলিয়াতোড় গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে তৃনমূল।
সদস্যদের মধ্যে ভোটাভুটিতে প্রধান হিসাবে নির্বাচিত হন তৃনমূলের প্রদীপ পাল। দলীয় নির্দেশ না মেনে প্রধান হিসাবে প্রতিদ্বন্দিতা করে জয় ছিনিয়ে নেওয়ায় প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পাওয়ার কয়েকদিনের মাথায় প্রদীপ পাল সহ স্থানীয় তৃনমূল নেতৃত্বের একাংশকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেয় তৃনমূলের জেলা নেতৃত্ব।
এর দু একদিনের মাথায় বড়জোড়া ব্লকের বিডিওর কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন সদ্য নির্বাচিত প্রধান প্রদীপ পাল।
এরপর থেকেই নতুন পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে তৃনমূল। গতকাল বেলিয়াতোড়ের প্রধান হিসাবে দায়িত্বভার তুলে দেওয়া হয় বিবেক সি র হাতে। তৃনমূলের দাবী দলের নির্দেশ ছিল বিবেক সি বেলিয়াতোড় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হবেন। কিন্তু সেই নির্দেশ প্রথমে অমান্য করে প্রদীপ পাল প্রধান হলেও পরে তিনি নিজের ভূল বুঝতে পেরে পদত্যাগ করেন।
বিষয়টিকে নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ বলে মানতে নারাজ তৃনমূল নেতৃত্ব। নব নির্বাচিত প্রধান প্রদীপ পালের প্রধান হওয়ার ঘটনাটিকে দুর্ঘটনা বলে দাবী করেছেন। বিদায়ী প্রধান ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চাননি।
বিজেপি-র কটাক্ষ, কে কত তোলাবাজি করতে পারবে ও কাটমানি দিতে পারবে তা নিয়ে তৃনমূলের অন্দরে প্রতিযোগিতা চলছে। আর তার জেরেই বারেবারে এই প্রধান বদল।
Comments