top of page

রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের তিনদিনের সম্মেলনে আলোচ্য বিষয় জাতীয় সুরক্ষা, অর্থনীতি ও সামাজিক সম্প্রীতি


রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংগঠন (আরএসএস)-কে লৌহমানব বল্লভভাই প্যাটেল একসময়ে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ভারতে নিষিদ্ধ দলটি হিসেবে ঘোষণা করেন। পরবর্তীকালে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেও যে কারণগুলির জন্যে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করা হয়, সেই উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদের ধ্বজা ‘উঁচা’-তেই রয়ে গেছে।


এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে দীর্ঘ সময় ধরে নাগপুরে সংগঠনের কেন্দ্রীয় দপ্তরে ১৫ আগস্ট, স্বাধীনতা দিবসে ভারতের জাতীয় পতাকা কিন্তু উত্তোলিত হয়নি।


দেশ বদলেছে, সময়ও। বিশেষ করে ২০১৪ সালে আরএসএস-এর সক্রিয় সদস্য এবং নয়নের মণি নরেন্দ্র মোদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কার্যভার সামলানোর পরে রাজনৈতিক দল বিজেপি -র সঙ্গে প্রধানত সাংস্কৃতিক সংস্কৃতির হিসেবে দাবি করা আরএসএস যোগাযোগ কতটা নিবিড়, তা জনসাধারণ উপলব্ধি করতে পেরেছে।


এহেন আরএসএস আজ থেকে তিনদিনের একটি সভা আয়োজন করেছে পুনাতে এস পি কলেজ গ্রাউন্ডে। সভাটি চলবে আগামী তিন দিন। জানা যাচ্ছে, বিজেপি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ, ভারতীয় মজদুর সংঘ সহ আরএসএস এবং অন্যান্য সংগঠনের ২৬৬ জন সদস্য এই সভায় অংশগ্রহণ করছেন।


আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত এবং সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবলে, বিজেপি-র সর্বভারতীয় সম্পাদক জেপি নাড্ডা, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অলোক কুমার এবং ৩৬টি সংগঠনের সভাপতি এই সভায় জ্যোতিষ্কের মতো বিরাজ করবেন।


আরএসএস-এর প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেদকর জানাচ্ছেন যে গত বছরে ছত্তিসগড়ের রায়পুরে এই সভাটি আয়োজিত হয়। কিন্ত আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে এই বছরের সভাটি যে একেবারে ‘সাংস্কৃতিক’ মনোভাবাপন্ন হবে, তেমনটা একেবারেই মনে হচ্ছে না। বিশেষ করে যখন সর্বসমক্ষে বলাই হচ্ছে ‘জাতীয় স্বার্থে ব্রেনস্টর্মিং’-এর জন্যেই এই সভার আয়োজন।


জাতীয় স্বত্বা নির্মাণে অংশ নেওয়ার জন্যে এই সভায় আহ্বান জানানো হয়েছে। পরস্পরের মধ্যে মতবিনিময় করে এনারা যে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে নিজেদের দাপট টিকিয়ে রাখবার জন্যেই যে ঘুঁটিগুলি সাজাবেন, তা বলাই বাহুল্য।


নরেন্দ্র মোদীর নামটি আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকবে কিনা, তা তিনদিন পরে এই সভার সমাপ্তির পরে স্পষ্ট জানা যাবে।

Comments


bottom of page