একদিকে অগ্নিগর্ভ মনিপুর। দিকে দিকে জ্বলছে হিংসার প্রতিআগুন, মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ছে ছোটো ছোটো শিশুরা, বর্বরতার শিকার হচ্ছেন নারীরা।
অপরদিকে সেই মনিপুরেরই মানসকন্যা রোশবিনা উজ্জ্বল করলো দেশের মুখ। মনিপুরের নোংরা সমাজতান্ত্রিকতার উপর পরলো, এক কষিয়ে চাপড়।
বৃহস্পতিবার এশিয়ান গেমসের পঞ্চম দিনে উশু তে রুপো জিতলেন তিনি। জেতার পর সেই পদক মনিপুরবাসীকে উৎসর্গ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
বুধবার ৬০ কেজি বিভাগের ফাইনালে প্রবেশ করেছিলেন। রোশিবিনা ভিয়েতনামের নুগুয়েন থাই থু থুয়েকে ২-০ হারিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার ফাইনালে তার মুখোমুখি হয়ে ছিলো চিনের উ জিয়াও ওয়েই। তবে শেষ পর্যন্ত ০-২ হেরে রুপো জেতেন রোশিবিনা।
রোশিবিনা জানান এশিয়ান গেমসে তার এই পদকগুলি অরুণাচল প্রদেশের তিনজন খেলোয়াড়কে উৎসর্গ করেছিলেন যারা ভিসা না দেওয়ার কারণে এশিয়ান গেমসে আসতে পারেনি।
অরুণাচল বাসী হওয়ায় চিন তাদের ভিসা দেয় নি।
রুপো জেতার পর রোশিবিনা বলেন, ‘‘মণিপুর জ্বলছে। লড়াই চলছে রোজ। গ্রামে ফিরতে পারছি না। যাঁরা ওখানে সমস্যায় রয়েছেন, তাঁদের এই পদক উৎসর্গ করছি। জানি না শেষ পর্যন্ত কী হবে। হিংসা কবে থামবে, কবে আবার সবকিছু আগের জায়গায় ফিরবে, জানি না।’’
মে মাস থেকে পরিবারের সঙ্গে কথা বন্ধ তার। অনুশীলনের ছেদ ধরতে পারে সেই ভয়ে মা তার সঙ্গে নিত্যদিন যোগাযোগও রাখেননি। এতো কষ্টের মধ্যে উশুতে সাফল্যই তাঁর পরিবারের মুখে হাসি ফোটায়।
বৃহস্পতিবারের সাফল্যের পরে রোশিবিনার আশা, দুঃখের দিন অচিরেই বদলাবে।
Commentaires