ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের একটি সুন্দর ছোট্ট গ্রাম রোহিনী ।শান্ত ও নির্জন ডুলুং নদীর তীরে এই গ্রাম। পাশেই বিখ্যাত রসিকানন্দ মন্দির। এই গ্রামে একটি মাত্র দুর্গাপূজো হয়। আর তার মণ্ডপ নির্মাণের কাজ শুরু গেল সোমবার।
এই বছর ৪৯তম বছরে পা দিল রোহিনী নতুন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সর্বজনীন দুর্গোৎসব। সোমবার খুঁটিপুজো হয় এখানে। পুজো কমিটির সম্পাদক সুমিত চন্দ জানান, এই পুজো বাকি পাঁচটা গ্রামের পুজোর থেকে আলাদা।প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা বাজেট এই পুজোর। আর এই পুজোয় মূল আকর্ষণ আতশবাজির প্রদর্শনী। যা প্রতি বছরের মতো এ বছরও হবে।
এই পুজো হয় সাবেকি প্রতিমা ও সাবেকি মণ্ডপে। গ্রাম বাংলার প্রাচীন রীতিনীতি এই পুজোতে ফুটে ওঠে। তবে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর সামাজিক কর্মকান্ড এখানের আরেক বৈশিষ্ট।আশেপাশের গ্রামবাসীদের কাছে এই পুজোই আনন্দর মূল কেন্দ্র। এই পুজোকে কেন্দ্র করেই মিলনমেলা বসে পুজোর ওই চার দিন। তাহলে এবার একবার যাবেন নাকি রোহিনি গ্রামে?
এছাড়াও কনকদুর্গা মন্দিরের পুজো হলো ঝাড়গ্রামের ডুলুং নদীর তীরে আরো একটি বিখ্যাত পুজো। তবে রোহিনী ব্যবসায়ী সমিতির পুজোও বিগত ৪৯ বছর ধরে দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। সোমবার খুঁটি পুজোর মাধ্যমে শুভ শুরু হল এবারের এখানের দুর্গোৎসবের। জাঁকজমক ও আড়ম্বরে কোনও অংশেই কম না এই গ্রামের দুর্গাপুজো।
Comments