বেসরকারি কারখানার যানবাহনের ভারে বেহাল অবস্থা রাস্তার, জেলা পরিষদ সদস্য এবং গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ করে কারখানার গেটের বাইরে। বিক্ষোভের কারণ বারবার কারখানার কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়নি। তবে জেলা পরিষদ বাসিন্দাদের এই বিক্ষোভ সমর্থন করেছেন।
বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের দুর্লভপুর বড়জোড়া রাজ্য সড়কের ভদড়া মোড়ের কাছেই রয়েছে একটি বেসরকারী কাস্টিং কারখানা। ভদড়া মোড় থেকে জয়সিংহপুর গ্রামে যাওয়ার রাস্তা ধরে এই কারখানায় যাতায়াত করে কাঁচামাল নিয়ে ভারী থেকে অতি ভারী লরি চলাচল করে এই রাস্তায়।
উৎপাদিত জিনিস নিয়ে লরিগুলি ফেরে এই রাস্তা দিয়েই হাজির হয় দুর্লভপুর বড়জোড়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডোরে। এত ভারী লরি চলাচল করার ফলে রাস্তা আরো বেহাল হয়েছে ৬ মাসেরো বেশি।
গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের জয়সিংহপুর, বড়শাল, দুবেরডাঙ্গা, লছিপুর সহ প্রায় ৬ থেকে ৭ টি গ্রামের মানুষ যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করেন এই রাস্তা। গ্রামের বাচ্চাদের একমাত্র এই রাস্তায় ভরসা চৌশাল হাইস্কুল পৌছানোর, ফলে এই রাস্তা বেহাল অবস্থায় গ্রামবাসীদের অনেকটাই অসুবিধার মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে।
প্রশাসন এই রাস্তা পাকা করার জন্য ফের উদ্যোগ নিয়েছে। পথশ্রী প্রকল্পে একাধিকবার রাস্তা পাকা করার কথা ঘটা করে ঘোষণাও করা হলেও কাঁচা রাস্তা পাকা হয়নি। উল্টে আরো বেশি গাড়ির আনাগোনা বেড়েছে।
গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের ফলে বড় গাড়ি চলা থেমে যায়, কারখানার শ্রমিকরা গেট আটকে পরে বিক্ষোপের সময়।বিক্ষোভকারী গ্রামবাসীদের দাবী রাস্তা মেরামত না করা হলে আগামীদিনে আরো বেশী সময় ধরে আন্দোলন গড়ে করা হবে।
আন্দোলনে পরিচালনা তৃনমূলের জেলা পরিষদ সদস্য বলেন, সরকারী প্রকল্পে কখন রাস্তা পাকা হবে সেই আশায় বসে না থেকে কারখানা কর্তৃপক্ষকে রাস্তা সারানোর উদ্যোগ নিতে হবে।
তবে তৃনমূলের জেলা পরিষদ সদস্যের এই বিক্ষোভকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপির স্থানীয় বিধায়ক দীর্ঘদিন রাস্তা বেহাল হয়ে থাকলেও প্রশাসনের ঘুম ভাঙেনি বলেই জানিয়েছেন। আজ কারখানা কর্তৃপক্ষকে চাপ দিয়ে টাকা অপহরণ করতেই তিনি আন্দোলনে নেমেছেন ।
কারখানার জেনারেল ম্যানেজার জানিয়েছেন বর্ষার জন্য রাস্তা বেহাল হয়েছে। বর্ষা মিটলেই কারখানার তরফে রাস্তা সারানো হবে।
Comments