top of page

পদত্যাগের পরেই ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে বহাল সন্দীপ ঘোষ! আরজি করের দায়িত্বে সুহৃতা পাল

সন্দীপ ঘোষ (বাঁ দিকে) , সুহৃতা পাল (ডান দিকে)
সন্দীপ ঘোষ (বাঁ দিকে) , সুহৃতা পাল (ডান দিকে)

পড়ুয়াদের লাগাতার আন্দোলনের মুখে সকালে স্বাস্থ্য ভবনে গিয়ে পদত্যাগপত্র দিয়ে এসেছিলেন আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। বিকেলে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে প্রিন্সিপালের দায়িত্ব বহাল করা হয়েছে তাঁকে। আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের নতুন অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডাক্তার সুহৃতা পালকে। এদিন সন্ধেয় নতুন করে এই বিজ্ঞপ্তি জারির পরেই আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের কুশপুতুল পোড়ান আন্দোলনরত ডাক্তাররা।

স্নাতকোত্তর ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ সামনে আসার পরেই অভিযুক্তের শাস্তি ও অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে  আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ। কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যের অন্য মেডিক্যাল কলেজেও। এই পরিস্থিতিতেই সোমবারই অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ইস্তফার কথা ঘোষণা করেন। তবে তিনি বলেন, "আমি কোনও চাপের মুখে পদত্যাগ করছি না। আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছি। যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে তার অভিঘাতে আমি বিপর্যস্ত। শুধু একজন শিক্ষক হিসেবে নয়, একজন বাবা হিসেবেও কিছুতেই এটা মানতে পারছি না।" 


একইসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর মুখে কথা বসিয়ে কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ রাজনৈতিক খেলায় নেমেছেন। এটা বুঝতে পেরে আরও মর্মাহত তিনি। এদিন সকালে প্রতিদিনের মতোই দফতরে আসেন ডাঃ সন্দীপ ঘোষ। কিছুক্ষণ পরে সাংবাদিকদের সামনে এসে নিজের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন। পরে স্বাস্থ্যভবনে গিয়ে তাঁর পদত্যাগ পত্র জমা দেন।  

এর কিছুক্ষণ পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছিলেন, "উনি জানিয়েছেন মানসিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত। আরজিকরের প্রিন্সিপালের পদ থেকে পদত্যাগ করতে চান। ওঁকে আমরা অন্য কোথাও পাঠাব।"

Comentarios


bottom of page