top of page

তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করলো সেচ দপ্তর, সংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা


সিকিম পাহাড়ে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে ভয়াবহ জলস্ফীতি তিস্তায়।তিস্তার দোমহনী থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকায়আজ লাল সতর্কতা জারি করলো সেচ দপ্তর । পাশাপাশি সংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি।

তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমান


১) ভোর ৫ টায় ৩৪৮৪ কিউমেক

২) সকাল ৭ টায় ৭০২৬ কিউমেক

৩) সকাল ৮ টায় ৫০২৩ কিউমেক।

৪) সকাল ৯ টায় ৭৯৫১.৩৮ কিউমেক।

৫) সকাল ১০ টায় ৮২৫২.৪০ কিউমেক।

৬) সকাল ১১ টায় ৭৮৮৫.৬৪ কিউমেক।

৩টের সময় ক্লাউড বার্স্ট হয়েছে।


শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সিকিমে বারোটি পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা পরিবার আটকে আছেন। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় খবর পেতে অসুবিধা হচ্ছে। সিকিমের মুখ্য সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছেন ভেসে যাওয়া দেহগুলির মধ্যে ৩ জনের দেহ উদ্ধার করা গেলেও সনাক্ত হয়নি। একটি দেহ তিস্তা ব্যারেজে পাওয়া গেছে। বাকিরা বাংলাদেশে ভেসে যেতে পারেন। অন্যদিকে, জলের তোড়ে ২৭ জন সেনা নিখোঁজ।


এনডিআরএফ এসডিআরএফ মোতায়েন করা হয়েছে।আরও এক কালাম সেনা চেয়ে পাঠানো হয়েছে। এয়ার লিফটিং শুরু হয়েছে।


মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন যে সিকিমের সঙ্গে এখন দার্জিলিং কালিম্পংয়ের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, দার্জিলিং কালিম্পংয়ে প্রায় ১০ হাজার লোককে সরানো হয়েছে। দার্জিলিং কোচবিহার জলপাইগুড়ি সংলগ্ন এলাকাও প্রভাবিত। জলের স্রোত কমলে তিস্তা ব্যারেজ মেরামতি হবে। তিনি আশ্বাস দেন যে সিকিমকে সবরকম সাহায্য করতে রাজ্য প্রস্তত রয়েছে।

দক্ষিণবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন যে, ডিভিসি জল ছাড়বার কারণে বাঁকুড়া বীরভূম হুগলি তে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। “আমি ঘর থেকে নজর রাখছি। মানুষদেরকে সত্বর ত্রাণশিবিরে যাওয়ার অনুরোধ করছি। ৬-৭ টা জেলায় নজর রাখা হচ্ছে," উনি বললেন।


প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে ঝাড়খন্ড বা সিকিমের জলোচ্ছ্বাস নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, “যেই জল ছাড়ুক,আমরা ডুবে যাই।"


নবান্নে ২৪ ঘন্টার কন্ট্রোল রুমখোলা হয়েছে।সেখানকার নম্বর ব্যাপকভাবে প্রচার করবার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি ডেঙ্গু নিয়ে সতর্কতাবজায় রাখবারও নির্দেশদিয়েছেন।


তাঁর আরো নির্দেশ, ত্রান সামগ্রীর মধ্যে অবশ্যই যেন মশারি দেওয়া হয়।

Yorumlar


bottom of page