top of page

ফের তদন্ত কল্যাণ ভট্টাচার্যর বাগান বাড়িতে, পুনঃনির্মাণ করল আজ পুলিশ।


গত ২০শে সেপ্টেম্বর নাগেরবাজার নয়াপট্টি এলাকায় কল্যাণ ভট্টাচার্যের মৃতদেহ উদ্ধার হয় তার বাগানবাড়ি থেকে। জানা যায় বাগানবাড়িতে তিনি এবং ওনার পোষ্য থাকতেন।


কল্যাণ ভট্টাচার্য একটি BMW গাড়ি ছিল. সেই গাড়ির চালক সৌরভ মণ্ডল। সে গাড়িটি নিয়ে দীঘা ভ্রমণ করার ইচ্ছে জানায় মালিক কল্যাণ ভট্টাচার্যকে। কিন্তু কল্যাণ ভট্টাচার্য গাড়ি দিতে অস্বীকার করেন এবং সৌরভের ফোন তিনি ধরছিলেন না।


সেদিনই রাতেই সৌরভ মণ্ডল পাঁচিল টপকে বাগানবাড়িতে গিয়ে হত্যা করেন কল্যাণ ভট্টাচার্যকে। স্থানীয় বাসিন্দারা এটিও জানিয়েছেন তারা সৌরভ মণ্ডলকে এলাকার আশেপাশে সেদিন ঘোরা ফেরা করতে দেখতে পায়।


এরপর কল্যাণ ভট্টাচার্য ফোন না ধরায় আত্মীয়রা তার বাড়িতে আসে এবং দেখে বাড়ির বাইরে তালা দেওয়া। বাইরে থেকে একটি পচাগলা গন্ধ আসছে। তৎক্ষণায় আত্মীয়রা নাগেরবাজার থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে তালা ভেঙে উদ্ধার করে কল্যাণ ভট্টাচার্যের মৃতদেহ। তবে তার পোষ্য এবং গাড়ির খোঁজ পাওয়া যায়নি বলেই জানা যায়।


তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে যে,কল্যাণ ভট্টাচার্যকে খুন করেছে তাঁর গাড়িচালক সৌরভ মণ্ডলই। সৌরভ মণ্ডল ধরা পড়েছে বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে।


এরপর সৌরভ মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পুলিশের সামনে স্বীকার করে যে সেই এই খুন করেছে। সে বলে, পাঁচিল টপকে ঘরে ঢোকার পর কল্যাণ বাবুর সাথে তার ধাক্কাধাক্কি হয়, বৃদ্ধের মাথায় আঘাত করে ভারী জিনিস দিয়ে। এবং মেরে ফেলবার উদ্দেশ্য নিয়ে সে জখম কল্যাণবাবুর গলা টিপে ধরে।


প্রশাসনের হেফাজতেই রাখা হয়েছে সৌরভ মণ্ডলকে। তাকে নিয়েই পুলিশ কল্যান ভট্টাচার্যের হত্যাকাণ্ড পুনঃনির্মাণ করতে নিয়ে আসে বাগানবাড়িতে।

Comments


bottom of page