top of page
Writer's pictureMinakshi Ghosh, WTN

রেশন বণ্টন দুর্নীতি কান্ডে শুভেন্দুর নিশানায় এবার জ্যোতিপ্রিয়!


রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতার হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যে উত্তাল রাজনীতি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এদিন বললেন, রেশন বণ্টন দুর্নীতি তো শুধু হিমশৈলের চূড়ামাত্র।


তাহলে এখন প্রশ্ন, এই হিমশৈলের বাকি অংশে কারা রয়েছে? শুভেন্দু জানালেন, দুর্নীতির আসল হিমশৈল হল ধান সংগ্রহে কারচুপি। এই ধান সংগ্রহে কারচুপি করেই কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। জালিয়াতি করা হয়েছে ৫০ শতাংশেরও বেশি ধান সংগ্রহে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই জালিয়াতিতে জড়িত রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়।


রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় ইডি-র কাছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর সব তথ্য উঠে আসছে। শাসকদলের অনেক নেতারা ইডির হাতে গ্রেফতারও হচ্ছেন। এরপরই নড়েচড়ে বসল রাজ্য সরকার। খাদ্য দফতরের পোর্টালে, এবার বাকিবুরের সংস্থা। রেশন বণ্টন দুর্নীতির মামলায়, হোল্ড করা হল NPG রাইসমিল প্রাইভেট লিমিটেডকে। ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকে ইডি ১৪ই অক্টোবর গ্রেফতার করেছিল, এবং প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ইডি গ্রেফতার করে ২৭শে অক্টোবর।


ইডি সূত্রে দাবি, এই দুর্নীতির মামলার তদন্তে, বাকিবুর রহমানের অগাধ সম্পত্তির কথা জানতে পারেন তারা। তার একাধিক সংস্থাও এর মধ্যে জড়িত। গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, বাকিবুরের ৬টি সংস্থার কথা জানা গেছে। এর মধ্যেই আটা বণ্টন দুর্নীতির টাকা ঢুকত একটি সংস্থায়। আরেকটি সংস্থা হল NPG রাইসমিল প্রাইভেট লিমিটেড। তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই সংস্থায় ১০ কোটি ৩০ লক্ষ ৯৭ হাজার ১০০ টাকা ঢুকেছিল। সূত্রের খবর, খাদ্য দফতরের পোর্টালে, বাকিবুর রহমান এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারির পর ওই সংস্থাটিকে হোল্ড হিসেবে দেখানো হয়েছে। 


নিয়ম অনুসারে, রাজ্য সরকারের তরফে এই চালের কলগুলিতে ধান পাঠানো হয়ে থাকে। তারপর রাজ্য সরকার এই চালকলগুলি থেকে ধান নেয়। হোল্ড করার অর্থ হল, রাজ্য সরকার এই চালকল গুলিতে আর ধান পাঠাবে না। তিন বছর আগে পুলিশও এই রেশন বণ্টন দুর্নীতি নিয়ে মামলা করেছিল। নদিয়ার ধুবুলিয়া, কোতোয়ালি ও নবদ্বীপ থানায় তিনটে FIR করা হয়েছিল পুলিশের তরফেও যথাক্রমে- ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালে। নদিয়ার কোতোয়ালি থানায় ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারিতে FIR দায়ের করা হয়েছিল। সেই FIR-এর ওপর ভিত্তি করেই ২০২২ সালে ED ECIR দায়ের করে। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, পুলিশের তদন্তে তখন এই দুর্নীতি সামনে আসেনি কেন? এই দুর্নীতি মামলার কান্ডারিদের ধরতে এতদিন সময় লাগল কেন? এতদিন পর এখন এই দুর্নীতিতে ইডি বাকিবুর রহমান ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতারির করেছে এই ব্যবস্থা কি মুখ বাঁচাতে? বিরোধীপক্ষ বার বার সেই প্রশ্নই তুলছে।

Comments


bottom of page