রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় জড়িয়ে আছেন আরও কয়েকজন। তদন্তকারীরা মনে করছেন বাকিবুরের মতো তারা না হলেও, বাকিবুরের মতোই কিন্তু দুর্নীতি মামলায় তারা যুক্ত ছিলেন।রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় তদন্ত করে আধিকারিকেরা মনে করছেন শুধু বাকিবুরের মতো আর অনেকেই সঙ্গী ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়র। ইডির তদন্তকারীরা মনে করছেন তারা বাকিবুরের সমগোত্রীয় ছিলেন না। তবে বাকিবুরের সঙ্গে পেশায় মিল রয়েছে তাদেরও। তারা কেউ কেউ মিল মালিক আবার কেউ কেউ ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, এমনটা ইডি সূত্র খবর। ইডির তদন্তকারীরা ইতিমধ্যে খতিয়ে দেখছে মিল মালিকদের ভূমিকার দিকটিও। বাকিবুরকে গ্রেফতার করার পর জ্যোতিপ্রিয়র নাম উঠে আসে রেশন দুর্নীতি মামলায়। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক খাদ্যমন্ত্রী থাকার সময় রেশনের খাদ্য সামগ্রী নিয়ে দুর্নীতি চলতো বলে ইডির সূত্রে খবর।ইডির একটি নথি থেকে ধারনা মেলে কিভাবে রেশনের আটা নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। তাদের নথিতে বলা হয়েছে মিল মালিকেরা সরকারি অর্থ মিলিয়ে নিতেন কড়ায় - গন্ডায়।
১ কেজি আটার দামে অন্তত ২০০ গ্রাম কম আটা দিতেন আটা কলের মালিকেরা। ইডির হাতে এমন তথ্য উঠে আসে বাংলার রেশন বন্টন মামলার তদন্তে। ইডি জানতে পারে, চাল এবং আটা কলের মালিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে, যে কমিয়ে নেওয়া আটার পরিমান কখনও কখনও ৪০০ গ্রামও হত। ১ কেজি আটার মূল্যে হাতে পেতেন ৬০০ গ্রাম আটা সরবরাহকারীরা।
ইডির দাবি বাকিবুরের সঙ্গে বাকি কর্মীদের যে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট চলাচলি হয়েছিল। তা খতিয়ে দেখে দু দফায় জ্যোতিপ্রিয়কে ৮০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল তা জানতে পারে ইডি আধিকারিকেরা।
תגובות