জরাজীর্ণ ভগ্নপ্রায় বাড়িতেই চলছে আমতার রসপুর গ্রামপঞ্চায়েতের কুমারিয়া দক্ষিনপাড়ার অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্র। দেখলে মনে হবে যে কোনো সময়ে ভেঙে মাথার উপরে পড়বে।
অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্র যাওয়ার রাস্তা যেমন বেহাল তেমনি রান্নার ঘরে নেই কোনো চাল। খোলা আকাশের নীচেই শিশুদের জন্য চলে রান্না। ছাদের উপর থেকে যখন তখন ভেঙে পড়ে চাঙড়। বেহাল এই অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্র নিয়ে ক্ষোভ স্থানীয় মানুষদের।
অভিভাবকদের দাবি, স্কুলে তাদের শিশুদের শিক্ষা চাই, খাবার তার পরে। তাঁরা চাইছেন অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্রের নতুন বাড়ি হয় তৈরি হোক, যেখান তাঁদের শিশুরা পড়াশোনা করতে পারে।
রসপুর কুমারিয়া দক্ষিনপাড়া অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্রের প্রায় ২৬ জন শিশু সহ ওই এলাকার গর্ভবতী মায়েদের ও পুষ্টিকর খাবার দেয়া হয় এই কেন্দ্র থেকেই।
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের এই বেহাল দশায় অনেক অভিভাবক এই এখন তার শিশুদের পাঠায় না এই অঙ্গনারী কেন্দ্রে। কারণ,যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা, এই ভয়েতেই তারা শিশুদের পাঠায় না।
এই অঙ্গনারী কেন্দ্রে একমাত্র কর্মী তিনি শিশুদের পড়ান আর তিনিই রান্না করেন। সব মিলিয়ে বেহাল এই অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্র শিশুদের আনতে ভয় অভিভাবকদের।
অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্রের কর্মী মামনি দলুই জানান তিনি পঞ্চায়েত প্রধানকে বারবার জানিয়েছেন চিঠি করেছেন তবে কোনো কাজ হয়নি।
রসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রাজকুমার খাঁড়া জানালেন, "অঙ্গনারী কেন্দ্র থেকে আমরা চিঠি পেয়েছি জায়গা সমস্যা আছে সেই সমস্যা মিটিয়ে নতুন করে বিল্ডিং তৈরি করার পরিকল্পনা আছে।"
Comentários