বঙ্গোপসাগরে ফের ঘূর্ণাবর্ত। যার জেরেই বৃহস্পতিবার থেকেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বেড়েছে বৃষ্টির পরিমাণ। আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ দিনভর বজ্রবিদ্যুত সহ বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে। আগামীকাল, শনিবার থেকে হবে হাওয়া বদল। বাড়বে গরম, সঙ্গে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। শনিবার রবিবার বৃষ্টির পরিমাণ কম থাকবে কিন্তু বাড়বে আর্দ্রতার কারণে অস্বস্তি।
আজ শুক্রবার, কলকাতার আকাশ থাকবে মূলত মেঘলা। গতকালের তুলনায় আজ তিলোত্তমার তাপমাত্রা নেমেছে স্বাভাবিকের তুলনায় চার ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে কয়েক পশলা বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। বিকেলের দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে। এদিন সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। । বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ থাকবে ৯১ থেকে ৯৬ শতাংশ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা শহরে তাপমাত্রা থাকবে ২৬ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অন্যদিকে, উত্তর-পশ্চিম ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে দুটি ঘূর্ণবাত তৈরির সম্ভবনা রয়েছে। সুস্পষ্ট নিম্নচাপ সমুদ্র ছেড়ে উপকূলের স্থলভাগে প্রবেশ করেছে। এই মুহূর্তে নিম্নচাপের অবস্থান উত্তর ওড়িশা ও সংলগ্ন উপকূল। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, ওড়িশা দিয়ে ঘূর্ণাবর্তটি ছত্রিশগড় ও মধ্যপ্রদেশ অভিমুখে যাবে। যার জেরে উত্তাল থাকবে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর। আগামী দুদিন ছত্রিশগড় মধ্যপ্রদেশে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বাংলা ওড়িশা উপকূলে আজ মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আন্দামান সাগর ও দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ১৮ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
বাংলায় এই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব ক্রমশ কমবে। তবে বিশ্বকর্মা পুজোয় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
Comments