রাজস্থানের ভরতপুরে জলেরও জাত আছে। সেখানে জাত দেখে জল খেতে হয় ছাত্রদের । ভরতপুরের ঘটনার এখন এটাই রীতি কিনা প্রশ্ন করছেন অনেকে। পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি।
৮ই সেপ্টেম্বর রাজস্থানের ভরতপুরের একটি স্কুলে, শিক্ষকদের জন্য সংরক্ষিত রাখা জলের পাত্র থেকে জল খেয়েছিল কয়েকজন ছাত্র। তাদের মধ্যে একজন দলিত ছাত্র। ওই পাত্র থেকে জল খাওয়ার অপরাধে তাকে বেধড়ক মারধর করে সেই স্কুলেরই এক শিক্ষক। এমনটাই অভিযোগ ওই ছাত্রের পরিবারের।
৮ই সেপ্টেম্বর স্কুলে এসে প্রার্থনা পর্বে যোগ দেন ওই ছাত্র। তারপর জলতেষ্টায় সে যায় স্কুলের জলকলের কাছে। তবে সেখানে জল ছিল না। জল খুঁজতে খুঁজতে পৌঁছে যায় শিক্ষকদের জন্য সংরক্ষিত রাখা জলের পাত্রের কাছে। সেই পাত্রে জল আছে দেখে আর কোনও কিছু না ভেবেই জল খেয়েছিল ওই ছাত্র। তবে সে একা ছিল না। তেষ্টা মেটানোর জন্য আরও কিছু ছাত্ররাও তার সঙ্গে ওই পাতের থেকে জল খেয়েছিল।
এই কথা জানাজানি হতেই স্কুলে তাণ্ডব। ওই স্কুলের এক শিক্ষক গঙ্গারাম গুরজর সব ছাত্রকে ডেকে পাঠায় যারা ওই পাত্র থেকে জল খেয়েছিল। একে একে সবার নাম আর জাত জানতে চায়। সপিতম শ্রেনীর এই ছাত্র দলিত জানতে পেরেই রেগে আগুন গঙ্গারাম। বেধড়ক মারতে থাকে ওই ছাত্রকে। সঙ্গে একটাই প্রশ্ন, 'দলিত হয়ে আমাদের জলে হাত দিলি কেন?'
এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি । ছাত্রটির বাড়ির তরফে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তাদের দাবি ছাত্রের পিঠে মারের চিহ্ন রয়েছে ।
কখনও মুজ্জফরনগরে পড়া না পারায় মুসলমান ছাত্রকে মারধর। আবার কখনও মহারাষ্ট্রে দলিত বলে চোর সন্দেহে গাছে ঝুলিয়ে রেখে কিশোরদের প্রহার, জাতি বিদ্বেষের খবর ক্রমশ বেড়েই চলেছে । একাংশের প্রশ্ন, আমরা কী তাহলে আবার আদিন বর্বরতার যুগের দিকেই পিছিয়ে যাচ্চি? সবটাই হচ্চে ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির দৌলতে ?
Kommentare